Homeখেলাধুলা‘অবশ্যই তাদের বাড়ি ফিরতে হবে’

‘অবশ্যই তাদের বাড়ি ফিরতে হবে’


রাশিয়া যে ফুটবলবিশ্বে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে, এটা জানতেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপে টাস্কফোর্স মিটিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করলেন, সত্যিই কি রাশিয়া নিষিদ্ধ?

২০২৬ সালের বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি মহাযজ্ঞ ঘিরে গণপরিবহন সংক্রান্ত ভাবনা থাকলেও কয়েক হাজার কোটি ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং মার্কিন কর্মীদের কয়েক হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত ২০২৬ বিশ্বকাপ ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, নিরাপদ এবং অসাধারণ ফুটবল টুর্নামেন্ট’—এমনটা বারবার দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

টাস্কফোর্স সভায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের পাশে বসা ফিফা বস জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বললেন, ‘চলতি বছর ক্লাব বিশ্বকাপ এবং আগামী বছর ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের ফলে ৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক উৎপাদন এবং প্রায় ৩ লাখ চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।’

পরবর্তী বিশ্বকাপ সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ ছিল। আসর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি দর্শকদের জন্য বিপুলসংখ্যক ভিসা প্রক্রিয়া করতে হবে। যেখানে কিছু ভিসার জন্য অপেক্ষার সময় এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে চলছে।

দেশটির পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী একটি অলাভজনক সংস্থার প্রতিবেদনে ফেব্রুয়ারিতে বলা হয়, ‘মিলিয়ন মিলিয়ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করবে আসন্ন মেগা ইভেন্টগুলো। কিন্তু তাদের প্রত্যাশিত সেবা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত নই।’

ভিসার জন্য অপেক্ষার সময়, ভেঙে পড়া ট্রানজিট অবকাঠামো এবং একটি পুরোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সরকারের ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করার পর থেকে এ উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

মঙ্গলবার বৈঠকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘প্রতিযোগিতার জন্য ২০ লাখ বিদেশি দর্শক যুক্তরাষ্ট্রে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

আসর ঘিরে উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নোয়েম বলেন, ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এফবিআইর সঙ্গে দর্শকদের ভ্রমণ নথিগুলো পরিচালনায় যৌথভাবে কাজ করবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।’

অনুষ্ঠানে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমেরিকা বিশ্বকে স্বাগত জানাবে। যারা এখানে উপভোগ করতে, মজা করতে, খেলা উদযাপন করতে আসতে চায়; তারা এখানে সবকিছু করতে সক্ষম হবে।’

বিশ্বকাপ উপলক্ষে আসা দর্শকদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার বিষয় নিয়ে অসংখ্য ঠাট্টা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আমরা চাই বিদেশি দর্শকরা আসুক। তারা উদযাপন করুক, খেলা দেখুক। কিন্তু সময় শেষ হলে, তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হবে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ শহরের উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থা নেই, তাই বিশ্বকাপ আয়োজক শহরগুলোর মধ্যে দর্শকদের যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। পরিবহন সচিব শন ডাফি বলেন, ‘বেশিরভাগ আন্তঃনগর পরিবহন সমস্যা বাসের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। এটি হতে যাচ্ছে সকার ম্যাচ দেখতে আসা মানুষের স্বল্পমেয়াদি চাপ। নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা বাড়ি ফিরে যাবে।’





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত