ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হার, আর এবার শারজাহতে টি-টোয়েন্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে লজ্জাজনক হার—বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ঘিরে একের পর এক ধাক্কা। ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়েও শেষ পর্যন্ত দুই উইকেট আর এক বল বাকি থাকতে হেরে যায় টাইগাররা। ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে এই হার অবিশ্বাস্য হলেও, দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স খুঁজে নিয়েছেন কিছু বাস্তব ব্যাখ্যা।
ম্যাচশেষে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে সিমন্স বললেন, ‘খেলা দু’দলেরই ছিল। ওরা সত্যিই দারুণ ব্যাট করেছে, আমরাও মন্দ করিনি। কিন্তু সমস্যা হয়েছে ফিল্ডিংয়ে—ক্যাচ হাতছাড়া করেছি, রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেছি। এ রকম ভুল করলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।’
ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতার পাশাপাশি সমালোচনা উঠেছে ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও। এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ সিমন্স। বললেন, ‘এটা নিয়ে আজ নয়, আগামীকাল ভাবব। ম্যাচ হেরেই তো উঠেছি ড্রেসিংরুমে। এখনই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চটজলদি মন্তব্য করা সম্ভব না।’
বিশাল রান করেও হারায় সমালোচিত হচ্ছে দলের মানসিক প্রস্তুতি নিয়েও। তবে সিমন্স এখনো আশাবাদী, বিশেষ করে পাকিস্তান সফরের দিকেই চোখ তার। ‘এখানে কয়েকটি ম্যাচ খেলেই আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাকিস্তানে আমরা কী করতে চাই, সেটা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় আছি,’ যোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে অধিনায়ক লিটন দাসও ম্যাচ শেষে স্বীকার করেছেন, ফল হতাশাজনক হলেও দল চেষ্টা করেছে। শিশিরের প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা উইকেটের সুবিধা নিয়ে ভালো ব্যাটিং করেছি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির স্পষ্টতই ওদের সাহায্য করেছে। আমাদের ফিল্ডিংয়ে ভুল ছিল, আর মাঝের ওভারগুলোতেও সঠিক পরিকল্পনার অভাব ছিল।’
লিটনের আরও যুক্তি, ‘এই ধরনের ছোট মাঠে খেলার সময় শিশির বড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাই বোলিংয়ের সময় আরও পরিকল্পিত হতে হবে, প্রতিটি ব্যাটারের জন্য আলাদা কৌশল নিয়ে নামতে হবে।’
আসন্ন সিরিজের আগে বাংলাদেশ দল যে চাপে আছে, তা আর আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। তবে এই চাপের মধ্যেও সিমন্স ও লিটনের ভাষ্যে যেটুকু ইতিবাচকতা ফুটে উঠেছে, সেটাই হয়তো পরবর্তী ম্যাচগুলোয় ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার, সেই ঘুরে দাঁড়ানো আদৌ ঘটে কি না।