১৪ বছরের বৈভব সুযর্বংশী আজ আইপিএলের ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে দিলেন। রাজস্থান রয়্যালসের এই উঠতি তারকা মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভারতের ইতিহাসে দ্রুততম আইপিএল শতকের মালিক হলেন এবং আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে রাজস্থান রয়্যালস ৮ উইকেটে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়ে চমকপ্রদ জয় তুলে নিল।
বৈভব ৩৮ বলে ১০১ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ১১টি বিশাল ছক্কা এবং ৭টি বাউন্ডারি। স্ট্রাইক রেট ছিল রীতিমতো চোখ ধাঁধানো — ২৬৫.৭৯। মাত্র ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি, চলতি আসরের দ্রুততম ফিফটি, এবং এরপর আরও ১৮ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কে।
সুর্যবংশী এবং যশস্বী জয়সওয়াল একসাথে ১৬৬ রানের বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি গড়েন মাত্র ১১.৫ ওভারে। শুরু থেকেই গুজরাট টাইটান্সের বোলারদের ওপর চেপে বসে দুই বাঁহাতি ব্যাটার। পাওয়ারপ্লেতেই রয়্যালস তোলে ৮৭ রান। সুর্যবংশী একাই ইশান্ত শর্মার এক ওভারে ২৮ রান তুলেন। এরপর কারিম জানাতের এক ওভার থেকে আদায় করেন ৩০ রান!
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্স ২০৯ রানের শক্তিশালী স্কোর গড়ে। শুভমান গিল ৭৭ রান এবং জস বাটলার অপরাজিত ৫০ রান করেন। তবে তাদের ইনিংসের মাঝামাঝি সময় কিছুটা ধীরগতির ছিল, যা পরে রাজস্থানের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে বৈভব আজ আইপিএলের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হলেন। একইসাথে, ভারতীয় হিসেবে আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও নিজের নামে করে নিলেন। সেঞ্চুরির পরপরই প্রতিপক্ষ বোলার প্রসিধ কৃষ্ণ তার স্টাম্প উপড়ে ফেললেও, রাজস্থানের জয়ের পথে আর কোনো বাধা ছিল না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গুজরাট টাইটান্স: ২০৯/৪ (শুবমান গিল ৭৭, জস বাটলার ৫০*; মাহিশ থিকশানা ২-৩৫, সন্দীপ শর্মা ১-৩৩)
রাজস্থান রয়্যালস: ২১২/২ (বৈভব সুর্যবংশী ১০১, যশস্বী জয়সওয়াল ৭০; রশিদ খান ১-২৪, প্রসিধ কৃষ্ণ ১-৪৭)
রাজস্থান রয়্যালস ৮ উইকেটে জয়ী।