Homeখেলাধুলাআবাহনীর বিপক্ষে কিংসের মধুর প্রতিশোধ

আবাহনীর বিপক্ষে কিংসের মধুর প্রতিশোধ


ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠার পথে দশজনের আবাহনী টাইব্রেকারে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারের পর কিংস অবশ্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রহমতগঞ্জকে টপকে ফাইনালে পৌঁছায়। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দশজনের কিংস টাইব্রেকারে আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল।

২২ এপ্রিল কালবৈশাখীর তাণ্ডবে এক ঘণ্টা ১০ মিনিট বন্ধ থাকার পর ম্যাচ শুরু হলেও আলো স্বল্পতার কারণে শেষ করা যায়নি। এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) শেষ হলো অসমাপ্ত ম্যাচ। ১৫ মিনিটের লড়াইয়ে দশজনের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে সুবিধা নিতে পারেনি ১১ জনের আবাহনী। নির্ধারিত সময়ের মতো অতিরিক্ত সময়ের খেলাও শেষ হলো ১-১ সমতায়। টাইব্রেকারে আবাহনীর দ্বিতীয় শট নিতে আসা নাইজেরিয়ান এমেকা ওগবাহর প্রচেষ্টা রুখে দেন বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। শেষ পর্যন্ত এটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায়।

মাঝে নাকটকীয়তা ছিল মিরাজুল ইসলামের শটে। এ ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে বসুন্ধরা কিংস শিবিরকে উল্লাসে মাতিয়েছিলেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ। মিরাজুল শট নেওয়ার আগে মেহেদী হাসান শ্রাবণ গোললাইন ছেড়ে আসায় রেফারি সায়মান হাসান সানি ফের স্পটকিক নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে তর্ক করতে এসে হলুদ কার্ড দেখেন কিংসের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন। পরে মিরাজুল ইসলাম গোল করলেও তা আবাহনীর হার রুখতে পারেনি। কিংসের জোনাথন ফার্নান্দেজ, শেখ মোরসালিন, তপু বর্মণ, ইনসান হোসেন ও দ্রেসিয়েল এলিস দস সান্তোস গোল করেন। রাফায়েল অগাস্তো, ইউসুফ মাহদি খান ও মিরাজুল ইসলাম গোল করলেও এমেকা ওগবাহ মিস করায় পঞ্চম শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি আবাহনীর।

শৃঙ্খলার ইস্যুতে ২২ এপ্রিল ম্যাচটা যেখান থেকে শেষ হয়েছিল, গতকাল যেন সেখান থেকেই শুরু হলো। অসমাপ্ত ম্যাচে ১১ হলুদ কার্ডের সঙ্গে ছিল একটি লাল কার্ড। আজ ১৫ মিনিটের খেলায় রেফারি সায়মন হাসান সানি আরও চার খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখান। টাইব্রেকার চলাকালে হলুদ কার্ড দেখাতে হয়েছে কিংস গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়নকে। সব মিলিয়ে ম্যাচে ১৫ হলুদ কার্ড ও এক লাল কার্ড দেখাতে হয়েছে রেফারিকে।

আসরে সর্বোচ্চ তিন গোল করেছেন সাত খেলোয়াড়। তারা হলেন কিংসের তপু বর্মণ, মোহামেডানের আরিফ হোসেন, রহমতগঞ্জের নাবিব নেওয়াজ জীবন ও স্যামুয়েল বোয়েটাং, ব্রাদার্সের সাজ্জাদ হোসেন ও মোস্তফা দ্রাম্মেহ এবং আবাহনীর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ ম্যাচসেরা হয়েছেন। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন আবাহনীর মিতুল মারমা। আসর সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের তপু বর্মণ।

এটি ছিল বসুন্ধরা কিংসের চতুর্থ কাপ শিরোপা। সর্বশেষ চার আসরের মধ্যে এটি ছিল আবাহনীর তৃতীয় ফাইনাল। ২০২১-২২ মৌসুমে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপা জিতলেও বাকি দুটি ফাইনাল হারতে হয়েছে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ ১২ বারের চ্যাম্পিয়নদের।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত