টুর্নামেন্টের শেষপ্রান্তে এসে আইপিএল ২০২৫-এ সবচেয়ে চমকপ্রদ খবরটি এসেছে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির থেকে—বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ৬ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে তারা। তবে মুস্তাফিজের এই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে উঠেছে এক বড় প্রশ্ন—তিনি এরইমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, সেখানে নামবেন নাকি দিল্লির হয়ে আইপিএলে খেলবেন?
দিল্লির ঘোষণায় এসেছে স্পষ্ট বার্তা—ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জেক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক আর খেলছেন না, তার পরিবর্তেই নেওয়া হয়েছে মুস্তাফিজকে। তবে আজ (১৪ মে) বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানায়নি, মুস্তাফিজ আইপিএলে খেলার জন্য ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (NOC) চেয়েছেন। উল্টো জাতীয় দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আমিরাতের বিমান ধরেছেন তিনি।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবির কাছে এখনো মুস্তাফিজ বা তার পক্ষ থেকে কেউ আইপিএলে খেলার জন্য কোনো অনাপত্তিপত্র চায়নি।
প্রসঙ্গত, ১৭ ও ১৯ মে শারজায় আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দিল্লির বাকি তিনটি ম্যাচ পড়েছে ১৮, ২১ ও ২৪ মে। তাই জাতীয় দলের হয়ে সিরিজ খেললে দিল্লির প্রথম ম্যাচে মাঠে নামা অসম্ভব মুস্তাফিজের জন্য। তবে বিসিবি যদি ম্যাচের পর তার আইপিএল খেলার অনুমতি দেয়, তাহলে শেষ দুটি ম্যাচে খেলতে পারেন তিনি।
তবে যা জানা গেছে, দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষ থেকে মাত্র দুদিনের আলোচনায় দ্রুতই চূড়ান্ত হয় মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। আজ দুপুরেই বিষয়টি নিশ্চিত হন মুস্তাফিজ। যদিও তার পক্ষ থেকে এখনো বিসিবির কাছে NOC চাওয়া হয়নি, তবু আইপিএলের ওয়েবসাইট ও দিল্লির সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম প্রকাশ হয়ে গেছে।
এর আগেও ২০২২ ও ২০২৩ আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলেছেন মুস্তাফিজ। দুই মৌসুম মিলিয়ে ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। এবার অবশ্য তার মূল্য উঠেছে রেকর্ড ৬ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ৬ লাখ ডলারে (প্রায় ৪ কোটি টাকা) কিনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
তবে মাঠে নেমে সেই মূল্যের প্রতিফলন ঘটাতে পারলেও ম্যাচ সংখ্যা বেশি নয় মুস্তাফিজের জন্য। দিল্লি এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে, শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফ নিশ্চিত নয়।