এমএ আজিজ স্টেডিয়াম নিয়ে জল ঘোলা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। এ স্টেডিয়াম বরাদ্দে সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে।
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদর্শ ভেন্যুর সংকট দীর্ঘদিনের। এ জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্মকর্তারা ফুটবলের জন্য স্বতন্ত্র ভেন্যু বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছিল। সে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম বরাদ্দ করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) প্রথমে ১০ এবং পরবর্তী সময়ে বাড়িয়ে ২৫ বছরের জন্য এ ভেন্যু বাফুফের অনুকূলে বরাদ্দ করেছে। এ নিয়ে স্থানীয় সংগঠক এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা আপত্তি জানান। পরবর্তী সময়ে জানানো হয়, স্থানীয় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এ ভেন্যু ব্যবহার করবে বাফুফে।
এ সিদ্ধান্তের পর কোনো প্রকার জটিলতা থাকার কথা নয়। সিদ্ধান্তের পর অনেকটা সময়ও কেটে গেছে। তার পরও হুট করে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ ইস্যুতে জল ঘোলা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়াটা রুখতে হবে।’
প্রয়োজনে এ নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে আয়োজিত অনুষ্ঠানে।
এ ইস্যুতে বাফুফে কর্মকর্তারা অবশ্য কোনো কথা বলতে রাজি নন। ভেন্যুর মালিক এনএসসি। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ইস্যুতে স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক সংস্থার দিকে তাকিয়ে আছেন বাফুফে কর্মকর্তারা। এদিকে এনএসসির একটি সূত্র জানিয়েছে, মাঠের বরাদ্দ বাফুফের অনুকূলেই থাকবে। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে স্থানীয়দের।