ইতিহাস গড়ল পিএসজি, আর ইতিহাসে ঠাঁই পেল ইন্টার মিলানের দুঃস্বপ্নও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) কাছে ৫-০ গোলের রেকর্ড ব্যবধানে হারের পর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি। ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি ইন্টারের ডাগআউটে থাকবেন কিনা—সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে নারাজ ইতালিয়ান কোচ।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইনজাগি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র সাংবাদিকদের প্রতি সম্মান দেখাতে। আজ রাতটা খুবই কষ্টদায়ক। এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার সময় নয়।’
ইতোমধ্যে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে ইনজাগির নাম জড়িয়েছে। জুনের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ঘিরে ইন্টার বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হবে বলেও জানা গেছে। কিন্তু ১৭ জুন মন্টেরে-র বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইনজাগিই কি কোচ হয়ে থাকবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
মিউনিখের মাঠে ফরাসি ক্লাব পিএসজির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইন্টার। খেলা শুরু থেকেই ছন্দহীন, ক্লান্ত, এবং কৌশলে দুর্বল মনে হয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টদের। ম্যাচ শেষে ইনজাগি অকপটে স্বীকার করেন,‘পিএসজি জয়ের পূর্ণ যোগ্য ছিল। তারা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী দল, বিশেষ করে টেকনিক্যাল দিক থেকে। আমরা ক্লান্ত ছিলাম, আর ওরা অনেক আগে থেকেই নিজেদের লিগ নিশ্চিত করে বসে ছিল। আমরা শেষ শুক্রবার পর্যন্ত ঘরোয়া লিগ নিয়ে লড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাচে আমরা পুরোপুরি পিছিয়ে ছিলাম। তাদের বল দখল, পাসিং, প্রেসিং—সব কিছুতেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমরা সংগঠিত ছিলাম না, তাই হারের দাবিদার ছিলাম।’
২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল ইন্টার। এবারও ফাইনালে উঠে এসে আবার সেই একই পরিণতি। ইনজাগি বলেন, ‘এ ধরনের হার খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা আবার একটি বড় সুযোগ হারালাম। তবে আমি আমার দলের ওপর গর্বিত, কারণ দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আমরা এখানে এসেছি।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভরাডুবির পর এখন ইন্টারের সামনে ক্লাব বিশ্বকাপ। তবে কে হবেন ডাগআউটে, তা এখনও অজানা। ইনজাগির সঙ্গে আলোচনা শেষে ক্লাব কোনো ঘোষণা দেবে কিনা, তা নির্ভর করছে আগামী সপ্তাহের আলোচনার ওপর।
আর পিএসজি? তারা ইতিহাস গড়েছে, প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা হয়ে। আর ইন্টার? আরেকটি ভাঙা স্বপ্ন নিয়ে ফিরছে মিউনিখ থেকে। প্রশ্নটা এখন একটাই—ইনজাগির জন্যও কি শেষ বাজল ইন্টার অধ্যায়ের?