ইতিহাসের পৃষ্ঠা পাল্টে গেল প্যারিসে। ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট প্রথমবারের মতো জিতেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও এ জয় এনে দিয়েছে অভাবনীয় অর্থনৈতিক সাফল্য—চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আয় করেছে প্রায় ৮২ মিলিয়ন ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০৭৭ কোটি টাকা, যা ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
২০২৪-২৫ মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাইজমানির পরিমাণ ছিল রেকর্ড ২.০৬ বিলিয়ন পাউন্ড। এই বিশাল পুল থেকে সবচেয়ে বড় অংশ গেছে এবার পিএসজির পকেটে।
শুরুতেই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেই তারা পেয়েছে ১৫.৭ মিলিয়ন পাউন্ড, অর্থাৎ প্রায় ২০৭ কোটি টাকা। এরপর গ্রুপ পর্বে চারটি জয় ও একটি ড্রয়ে আয় করে আরও ৯৮ কোটি টাকা।
নকআউট পর্বে অগ্রসর হওয়ার প্রতিটি ধাপেই বাড়তে থাকে আয়।
- রাউন্ড অব ১৬: ১২৪ কোটি টাকা
- কোয়ার্টার ফাইনাল: ১৪১ কোটি টাকা
- সেমিফাইনাল: ১৭০ কোটি টাকা
- ফাইনালে পৌঁছে নিশ্চিত করে আরও ২১০ কোটি টাকা
- আর শিরোপা জিতে পায় অতিরিক্ত ৭৪ কোটি টাকা
এই বিশাল অর্থসাফল্যের সঙ্গে আরও যোগ হবে ইউরোপিয়ান সুপার কাপ থেকে প্রাপ্ত ৫৩ কোটি টাকা, যেখানে তারা খেলবে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামের বিপক্ষে।
সব মিলিয়ে পিএসজির মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১,০৭৭ কোটি টাকা, যা ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
তবে এখানেই শেষ নয়। সামনে রয়েছে আরও বড় মঞ্চ—২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ। সেখানকার সম্ভাব্য পুরস্কার প্রায় ১,৩২৫ কোটি টাকা। যদি পিএসজি সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে ২০২৫ সাল হতে পারে ক্লাব ইতিহাসে অর্থনৈতিক সাফল্যের শীর্ষ বছর।
ফুটবলের মাঠে গৌরবের সিঁড়ি বেয়ে উঠে পিএসজি এবার পা রাখল অর্থনৈতিক সাফল্যের চূড়ায়। ইউরোপ জয়ের উল্লাসে শুধু ট্রফিই নয়, প্যারিসে এসে জমা হলো টাকার পাহাড়ও।