ভারতের অন্যতম সফল ব্যাটার বিরাট কোহলি নাকি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিবেন। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে কোহলিকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে বিসিসিআই, তবে এখনও তাতে সাড়া মেলেনি। বরং, অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের অবস্থান যে দৃঢ়, তা-ই জানা গেছে বোর্ড সূত্রে এমনটাই দাবি টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দুই সপ্তাহ আগে নির্বাচকদের অবসরের ব্যাপারে অবহিত করেছেন কোহলি। তার বার্তা ছিল পরিষ্কার—টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান তিনি। রোহিত শর্মাও যখন টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন, তখন কোহলির বিদায় দলকে আরও বড় সঙ্কটে ফেলবে বলেই আশঙ্কা করছে বোর্ড।
ইংল্যান্ড সফরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে ভারতের মিডল-অর্ডার অভিজ্ঞতার বড় ঘাটতিতে পড়তে পারে কোহলির না থাকায়। শুভমান গিলকে নেতৃত্বে ভাবা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ব্যাটিংয়ের চার নম্বর পজিশনে বিকল্প খোঁজা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শ্রেয়াস আইয়ার বা করুণ নায়ার হতে পারেন সম্ভাব্য বিকল্প। তবে টেস্ট অভিজ্ঞতার ঘাটতি তাদেরকে আদৌ কি প্রস্তুত করে তুলেছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নির্বাচকদের মনে।
পেস আক্রমণের দিকেও আছে শঙ্কার কালো ছায়া। মোহম্মদ শামির চোট-পরবর্তী ফর্ম বোর্ডকে চিন্তায় ফেলেছে। টানা ইনজুরির কারণে ছন্দ হারানো এই পেসার বর্তমানে এমন অবস্থায় রয়েছেন যে, রানআপ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারছেন না, এমনকি বল উইকেটকিপার পর্যন্ত পৌঁছানোতেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
আইপিএল পারফরম্যান্সই সবকিছু নয়—এমনটা মানলেও শামির বর্তমান অবস্থা বড় উদ্বেগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, তাকে প্রতি ইনিংসে একাধিকবার বিশ্রাম নিতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাসপ্রীত বুমরাহকেও পুরো সিরিজে পাওয়া যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচকদের পরিকল্পনায় ছিল অন্তত শামি বা বুমরাহ, দুজনের একজনকে প্রতিটি ম্যাচে খেলানো। কিন্তু শামি যদি পুরো ফিট না থাকেন, আর বুমরাহ বিশ্রামে যান, তাহলে বিকল্প হিসেবে মোহম্মদ সিরাজ বা নতুনদের ওপর ভরসা রাখতে হবে।
সিরাজ এখনও পর্যন্ত নিজেকে প্রধান পেসার হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। অন্যদিকে, বাঁহাতি পেসার হিসেবে আরশদীপ সিং, খালিল আহমেদ ও যশ দয়ালের নাম আলোচনায় এলেও প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অভিজ্ঞতার অভাব তাদের জন্য বড় বাধা।
বিসিসিআই আশা করছে, চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে কোহলি হয়তো সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। তবে এখনো পর্যন্ত তার অবস্থান কঠোর। টেস্টে ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, ড্রেসিংরুমে তাঁর উপস্থিতি ও অভিজ্ঞতা দলের জন্য অমূল্য।
অবশেষে কোহলি আদৌ টেস্ট খেলবেন কি না, তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী সপ্তাহের দল নির্বাচনের বৈঠক পর্যন্ত।