Homeখেলাধুলাদুই ম্যাচের পরই নির্বাসনে যাচ্ছে ফুটবল!

দুই ম্যাচের পরই নির্বাসনে যাচ্ছে ফুটবল!

[ad_1]

সংস্কারের কারণে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে দীর্ঘদিন নির্বাসনে ছিল ফুটবল। ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ এবং ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ হয়েছে এ ভেন্যুতে। দুই ম্যাচ আয়োজনের পর ফের গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনা থেকে নির্বাসিত হচ্ছে ফুটবল।

এবারের নির্বাসনের কারণ মাঠের ঘাস। ঘাস নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা, সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজটা সঠিকভাবে হয়নি। সংস্কারের পর মাঠে ভিন্ন জাতের ঘাস ছিল। এবার সে ঘাস তুলে নতুনভাবে মাঠ প্রস্তুত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে আড়াই থেকে তিন মাস সময় প্রয়োজন। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় স্টেডিয়ামে সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। যার অর্থ হচ্ছে সহসাই ঘরোয়া ফুটবল ফিরছে না দেশের ক্রীড়াঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ এ ভেন্যুতে। এ স্টেডিয়ামে ঘরোয়া কার্যক্রম না রাখার জন্য পেশাদার লিগ কমিটিকে অনুরোধও জানানো হয়েছে।

ভেন্যুর ঘাস সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন্স কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস কালবেলাকে বলছিলেন, ‘মাঠে বর্তমানে যে ঘাস রয়েছে, তা ফুটবলের জন্য আদর্শ নয়। আমরা মাঠ এমনভাবে প্রস্তুত করতে চাই, যা হবে ভালো ফুটবলের জন্য সহায়ক। এ কারণে বর্তমান ঘাস তুলে এখানে নতুন ঘাস রোপণ করতে হবে। এ জন্য আড়াই থেকে তিন মাস সময় প্রয়োজন।’

২০২১ সালে দেশের ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র খ্যাত এ ভেন্যু সংস্কার কাজ শুরু হয়। ম্যারাথন সংস্কার শেষে স্টেডিয়াম সম্প্রতি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বাফুফেকে। অন্যান্য সংস্কার কাজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তদারক করলেও মাঠে ঘাস রোপণের কাজটা করেছে স্বয়ং বাফুফে। এজন্য বরাদ্দকৃত টাকাও বাফুফেকে প্রদান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনএসসির এক কর্মকর্তা। বর্তমানে মাঠে আছে বারমুডা, বেঙ্গল টাইগার ও ইয়ং প্রজাতির ঘাস। একাধিক প্রজাতির পরিবর্তে ফুটবলের উপযোগী নির্দিষ্ট এক প্রজাতির ঘাস রোপণ করা হবে বলে বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ শেষে শুধু মাঠের ঘাস সমস্যা নয়, আরও কিছু অসংগতি রয়ে গেছে। যার অন্যতম গ্যালারির কিছু অংশের চেয়ার। চেয়ারগুলো এমন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে বসে খেলা দেখার উপায় নেই। সেই চেয়ারগুলো তুলে মশাল গেট সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় স্থাপন করে দিতে এনএসসিকে অনুরোধ করেছে বাফুফে।

এ প্রসঙ্গে গোলাম গাউস বলছিলেন, ‘কিছু আসন এমন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে, সে আসনে বসে খেলা দেখার উপায় নেই। তাই এনএসসিকে অনুরোধ করেছি, ওই আসনগুলো ফাঁকা জায়গায় প্রতিস্থাপন করে দিতে।’ কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আদৌ বাফুফের চাহিদা অনুযায়ী আসনে বিন্যাস করা সম্ভব কি না—এ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত