আইপিএলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর একটি—কোয়ালিফায়ার ১—এ কোনো উত্তেজনা থাকলো না। বরং একতরফা দাপটে পাঞ্জাব কিংসকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে ৯ বছর পর ফাইনালে পৌঁছে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। বল হাতে দুর্দান্ত সূচনা, আর ব্যাটে ছিল নিখুঁত নিপুণতা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে টেবিল টপার পাঞ্জাব কিংস। দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর প্রভসিমরন ফিরে যান মাত্র ২ ওভারের মধ্যেই। এরপর হ্যাজেলউড তুলে নেন শ্রেয়াস আইয়ার ও জশ ইংলিশকে। মাঝের ও নিচের সারি সামলাতে পারেননি সুয়াশ শর্মার ঘূর্ণি। ম্যাচের সেরা এক স্পেলে ৩ ওভারে ৩ উইকেট নেন সুয়াশ।
স্টয়নিস (২৬) এবং ওমরজাই (১৮) ছাড়া পাঞ্জাবের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ১৪.১ ওভারে অলআউট পাঞ্জাব, স্কোর মাত্র ১০১!
মাত্র ১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো আগ্রাসী ভঙ্গিতে মাঠে নামে বেঙ্গালুরু। ফিল সল্ট খেলেন ঝড়ো ইনিংস—২৭ বলে ৫৬ রান, যার মধ্যে ছিল ৬ চার ও ৩ ছক্কা।
কোহলি (১২) দ্রুত ফিরে গেলেও, মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৯) ও অধিনায়ক পাটিদার (১৫*) সহজেই বাকি কাজ সারেন।
মাত্র ১০ ওভারে ১০৬/২ রান তুলে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বেঙ্গালুরু। আর এই জয়ের সুবাদে তারাই হলো প্রথম দল, যারা ২০২৫ সালের ফাইনালে পৌঁছাল।
অনেকবার কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বেঙ্গালুরুকে। এবার সেই পুরনো দুঃখ ভুলে নতুন ইতিহাস গড়ার হাতছানি। দলের বোলাররা ফাইনালের আগে বুঝিয়ে দিলেন, এবার শুধু ব্যাটেই নয়—গোটা ইউনিটই প্রস্তুত ট্রফির জন্য!
ম্যাচ সারসংক্ষেপ
পাঞ্জাব কিংস: ১০১ অলআউট (১৪.১ ওভারে)
হ্যাজেলউড ৩/২১, সুয়াশ ৩/১৭
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১০৬/২ (১০ ওভারে)
ফিল সল্ট ৫৬*, পাটিদার ১৫*
ফল: বেঙ্গালুরু জিতল ৮ উইকেটে (৬০ বল হাতে রেখে),