লা লিগায় শীর্ষস্থান ধরে রেখে রিয়ালের ওপর চাপ বজায় রাখতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না বার্সেলোনার। তবে রেলিগেশন নিশ্চিত হওয়া ভায়াডোলিদের মাঠে গিয়েও সহজে মেলেনি সেই কাঙ্ক্ষিত জয়। ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেজের দুর্দান্ত গোলে ফিরে আসে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।
ম্যাচের মাত্র ছয় মিনিটেই চমকে দেয় স্বাগতিকরা। রাউল মোরোর পাস থেকে ইভান সানচেজের শট ডিফ্লেক্ট হয়ে ঠেকায় বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেনকে। সাত মাস পর মাঠে ফেরা এই জার্মান গোলরক্ষকের জন্য এটি ছিল চ্যালেঞ্জিং প্রত্যাবর্তন।
গোল হজমের পরও বার্সেলোনা প্রথমার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেললেও, ভায়াডোলিদ গোলরক্ষক আন্দ্রে ফেরেইরার দৃঢ়তায় তাদের বারবার হতাশ হতে হয়। আনসু ফাতি ও লোপেজ ভালো সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হন।
ম্যাচের মাঝপথে একটি বিরতিও নিতে হয়, কারণ ১৯ বছর বয়সী বার্সা ডেব্যুট্যান্ট দানি রদ্রিগেজ চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে তাকে বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় লামিন ইয়ামালকে।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ধরণ পাল্টায়। ৫৪তম মিনিটে ইয়ামালের ক্রস ফেরেইরা ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে হাফ-ভলিতে অসাধারণ এক গোল করেন রাফিনিয়া। সমতায় ফেরার পর ম্যাচে গতি আসে বার্সার খেলায়।
মাত্র ছয় মিনিট পরই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। জেরার্দ মার্টিনের পাস থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করেন ফেরমিন লোপেজ। এই গোলই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়।
শেষদিকে হেক্টর ফোর্টের শট লাগে পোস্টে, ইয়ামালের একটি শট লাইন থেকে সেভ করেন ভায়াডোলিদের ডিফেন্ডার কানডেলা। অন্যদিকে, বার্সা গোলরক্ষক টার স্টেগেনও দুর্দান্তভাবে রক্ষা করেন একটি নিশ্চিত গোল।
হান্সি ফ্লিক ম্যাচ শেষে বলেন, ‘নয়টি পরিবর্তন করে খেলানো সহজ ছিল না, তবে আমি আমার খেলোয়াড়দের উপর আস্থাশীল। ওরা নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছে।’
এই জয়ের ফলে বার্সেলোনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৯ পয়েন্টে, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি। রিয়াল রোববার সেল্টা ভিগোর মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে, বার্সার সামনে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগ, যেখানে ইন্টার মিলানের মাঠে খেলতে নামবে তারা ৩-৩ গোলে প্রথম লেগ ড্র করার পর।