সিজনের শুরুর পর অন্যতম প্রতীক্ষিত ম্যাচে ইন্টার মায়ামি ও মিনেসোটা ইউনাইটেডের দ্বৈরথে ঘটে গেল বড়সড় এক অঘটন! লিওনেল মেসি গোল করলেও তাতেও হার এড়াতে পারেনি হেরনসরা। হাভিয়ের মাশ্চেরানোর কৌশলগত ভুলে মিনেসোটার কাছে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছে ইন্টার মায়ামি, যা মেসির আগমনের পর ক্লাবটির সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়।
ব্যক্তিগত কারণে ম্যাচে খেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। তার অনুপস্থিতিতে আক্রমণে ছন্দ খুঁজে পায়নি মেসির মায়ামি। প্রথমার্ধেই দুই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে হেরনসরা। গোলদাতা ছিলেন অ্যান্থনি মার্কানিচ ও বঙোকুহলে হ্লোংওয়ানে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফিরে আসে একটু আশার আলো। লিওনেল মেসি দুর্দান্ত এক গোল করে ব্যবধান কমান ২-১-এ। মনে হচ্ছিল ম্যাচে ফেরার গল্প রচনার শুরু হলো। কিন্তু সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় নিজেদের রক্ষণভাগের দুর্বলতা।
৬৮তম মিনিটে ডিফেন্ডার মার্সেলো ওয়েইগানডট নিজেই আত্মঘাতী গোল করে বসেন, যা আবারও ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে মায়ামিকে। এরপর ফিনল্যান্ডের রবার্ট লড মিনিট দুয়েকের মধ্যেই গোল করে মিয়ামির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মাশ্চেরানো একে একে চারটি পরিবর্তন করেন। কিন্তু তার কোনো পরিকল্পনাই কাজ করেনি। পুরো ম্যাচজুড়ে মিনেসোটা ইউনাইটেড একতরফা আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে, আর ইন্টার মায়ামি যেন মাঠে ছিল শুধু উপস্থিতি জানান দিতে।
ম্যাচশেষে মাশ্চেরানো অবশ্য দাবি করেন, ‘আমরা এতটা খারাপ খেলিনি।’ কিন্তু স্কোরলাইন ও মাঠের পারফরম্যান্স ছিল তার উল্টো চিত্র। দলের খেলায় ছিল না কোনো পরিকল্পনার ছাপ, ছিল না আগ্রাসী মনোভাব বা প্রত্যাবর্তনের আত্মবিশ্বাস।
এই হারে চলতি মৌসুমে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হারল মায়ামি। ২০২৩ সালে মেসির যোগদানের পর এটাই দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। এতদিন তাদের সর্বোচ্চ পরাজয় ছিল ২০২৪ সালের মে মাসে আটলান্টা ইউনাইটেডের কাছে ৩-১ গোলের হার।
ফুটবলপ্রেমীদের প্রশ্ন এখন একটাই—মেসি থাকলেও কি ধ্বংসের পথে ইন্টার মায়ামি? মাশ্চেরানো কি আদৌ ঠিকঠাক দল গঠন ও পরিচালনায় সক্ষম?