নাটকীয়তার পর পাওয়া সুযোগ, চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ম্যাচ, আর দিল্লির প্লে-অফ স্বপ্নের ভরসা—বাংলাদেশের পেস বোলিং তারকা মোস্তাফিজুর রহমান যেন এখন শুধুই ক্রিকেট আর চাপের মাঝে বন্দি।
গতকাল রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২টি মূল্যবান উইকেট। কিন্তু ম্যাচ শেষ না হতেই নতুন মিশনের প্রস্তুতি! বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না। কারণ আজ রাতেই আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে মাঠে নামতে পারেন মুস্তাফিজ।
তবে ফিজ কি খেলবেন আজই? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছে বাংলাদেশের ভক্তরা। ভ্রমণের ক্লান্তি, টানা ম্যাচ খেলার ধকল—সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা এখনো শতভাগ নিশ্চিত নয়। তবে যদি খেলেন, তাহলে এক দিনে দুটি ভিন্ন কন্ডিশনে দুটি আন্তর্জাতিক মানের ম্যাচ খেলবেন ফিজ—যা নিঃসন্দেহে অসাধারণ এক চ্যালেঞ্জ।
আইপিএলের মাঝপথে ১৪ মে দিল্লির দলে নাম লেখান মোস্তাফিজ, ৬ কোটি রুপিতে। কিন্তু এনওসি জটিলতায় তার মাঠে নামা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত সাত দিনের জন্য এনওসি দিয়েছে। এই সময় দিল্লির রয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ—সবগুলো জিতলেই সরাসরি প্লে-অফে জায়গা মিলবে। ফলে প্রত্যেক ম্যাচই এখন সোনার চেয়েও দামি!
এদিকে ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল আইপিএল। খেলা ফিরলেও মাঠে নামা নিয়ে সংকটে পড়েছে বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি, বিশেষ করে দিল্লি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্ক নিরাপত্তাজনিত কারণে ফিরে গেছেন। এরপর মিচেল স্টার্কের বিদায় দিল্লির বোলিং আক্রমণকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে। ফলে এখন একমাত্র বিদেশি বাঁহাতি পেসার হিসেবে স্কোয়াডে আছেন ফিজই।
২০২২ ও ২০২৩ আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলেছিলেন মুস্তাফিজ, নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। সেই অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগানোর দারুণ সুযোগ তার সামনে। দলও চায় তাকে মাঠে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন দিল্লির প্লে-অফ ভাগ্য ঝুলে আছে শেষ তিন ম্যাচের ওপর।
সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রাতেই দিল্লির জার্সিতে মাঠে দেখা যেতে পারে মোস্তাফিজকে। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নিতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে—খেলানো হবে ক্লান্ত ফিজকে, নাকি আরও প্রস্তুতি নিয়ে নামানো হবে পরের ম্যাচে? উত্তর মিলবে আজ রাতে, দিল্লির আকাশে আলো জ্বলার সঙ্গেই।