চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বাংলাদেশের হয়ে শুরু হয়েছিল দারুণভাবে। দীর্ঘদিন পর ওপেনিংয়ে ফিরেই জ্বলে উঠলেন সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। দুজনের ব্যাটে এল ৩৩ ইনিংস পর প্রথম শতরানের ওপেনিং জুটি। কিন্তু বিকেলের সেশনে সব যেন বদলে গেল।
দিনের শেষটা শেষ পর্যন্ত দাঁড়াল ২৭৯ রানে ৭ উইকেট, যেখানে বাংলাদেশের লিড মাত্র ৬৪ রান। উইকেটে রয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেঞ্চুরিয়ান সাদমান খোলাখুলিই বললেন, ‘আমরা ভালো অবস্থানে ছিলাম, কিন্তু হঠাৎই ধস নামল। চাইনি এতগুলো উইকেট পড়ুক। অন্তত তিনটা উইকেট বেশি পড়েছে, নাহলে এখনই হয়তো ১০০ রানের লিড পেয়ে যেতাম।’
সাদমান একাই লড়েছেন সামনে থেকে। ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে তুলে নিলেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আর এনামুল হক ৩৯ রান করে আউট হলেও, তার ইনিংসটিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাদমান।
‘ও (এনামুল) অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটার। দীর্ঘদিন পর ফিরেই এমন ভালো সূচনা দিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটু তাড়াতাড়িই আউট হয়ে গেছে,’ বললেন সাদমান।
একপর্যায়ে স্কোর ছিল ১১৮ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ভাঙন। নতুন এক নাম—ভিনসেন্ট মাসাকেসা, ২২ বছর বয়সী জিম্বাবুইয়ান লেগ স্পিনার, তুলে নেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সঙ্গে রান আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিম, উইকেট ছুঁড়ে দেন ওয়েসলি মাধেভেরে।
তবে সাদমান আশাবাদী, এখনও লড়াই শেষ হয়নি। ‘মিরাজ ও তাইজুল ভাই আছেন। ওরা যদি কাল কিছু রান যোগ করতে পারে, তাহলে লিডটা ১০০-র কাছে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
জিম্বাবুয়ের তরুণ স্পিনার মাসেকেসা নিজেও আত্মবিশ্বাসী। অভিষেকেই ৩ উইকেট পাওয়া এই স্পিনার বললেন, ‘বাংলাদেশ ভালো খেলছে, তবে আমরাও ম্যাচে আছি। উইকেট ধীরে ধীরে স্পিনারদের সহায়তা করছে।’
নিজের আদর্শ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন শেন ওয়ার্ন, গ্রায়েম ক্রেমার, আদিল রশিদ, চাহাল, জাম্পা এবং বাংলাদেশের রিশাদ হোসেনকে।
চট্টগ্রামের উইকেট দিনে দিনে স্পিনারদের অনুকূলে হলেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে শেষ দিকের রানগুলো। কারণ এই মুহূর্তে ম্যাচ এখনও ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছে—একদিকে বাংলাদেশের লিড, অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের নবীনদের লড়াই।