সান্তোসে ফিরেছিলেন নায়ক হয়ে, কিন্তু নেইমারের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। চুক্তির মেয়াদ শেষের আগে হয়তো আর মাত্র দুটি ম্যাচেই দেখা যেতে পারে ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে—তাও যদি তিনি ফিট হয়ে ওঠেন।
নেইমারের বর্তমান চুক্তি জুনেই শেষ হচ্ছে। তবে চোটের কারণে বহুদিন ধরেই মাঠের বাইরে তিনি। বাঁ থাইয়ের পেশিতে চোট পেয়েছিলেন, যা থেকে সেরে উঠতে সময় লাগছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। সান্তোসের মেডিকেল টিম আশা করছে, মে মাসের শেষ নাগাদ অনুশীলনে ফিরবেন তিনি।
সব ঠিকঠাক চললে, জুনের শুরুতে বোটাফোগো এবং মাঝামাঝি সময়ে ফোর্তালেজার বিপক্ষে মাঠে ফিরতে পারেন নেইমার। যদিও শুরুর ম্যাচে পুরো সময় খেলার সম্ভাবনা কম, ধীরে ধীরে ম্যাচ ফিটনেস ফেরানোই লক্ষ্য।
ক্লাব সূত্র বলছে, তারা চুক্তি বাড়াতে আগ্রহী। বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেইমারকে দলে রাখতে চায় সান্তোস। প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তার এজেন্টদের, এখন শুধু ফিট হয়ে ওঠা এবং মাঠে ফেরাটাই বাকি।
নেইমারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তিনি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে রিহ্যাবে সময় দিচ্ছেন। প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে সান্তোসের ট্রেনিং সেন্টারে কাটাচ্ছেন। জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন। কোচিং স্টাফও প্রশংসা করেছে তার পেশাদারিত্বের।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়। যদি চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারেন, তাহলে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অন্তত দু’টি ম্যাচে নেইমারকে দেখা যাবে। তবে সান্তোস ও নেইমার দু’জনেরই ইচ্ছা, এই সম্পর্ক যেন এখানেই শেষ না হয়।
নেইমার কি সান্তোসেই নতুন অধ্যায় শুরু করবেন, নাকি সময় গড়াবে অন্য পথে? উত্তর দেবে আগামী কয়েক সপ্তাহ।