Homeখেলাধুলাহামজাদের ম্যাচ ঘিরে বাড়তি সতর্কতা, নিরাপত্তায় নামছে সোয়াট ইউনিট

হামজাদের ম্যাচ ঘিরে বাড়তি সতর্কতা, নিরাপত্তায় নামছে সোয়াট ইউনিট

[ad_1]

আসন্ন বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ যেমন তুঙ্গে, তেমনি বাড়ছে নিরাপত্তা উদ্বেগও। ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনার পর এবার বাফুফে নিচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতি। দর্শকদের অনধিকার প্রবেশ, গ্যালারি পেরিয়ে মাঠে ঢুকে পড়া সমর্থকদের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ বাহিনী—সোয়াট।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে মহড়া দেবে সোয়াট। ম্যাচের দিনও তারা মাঠ ও স্টেডিয়ামজুড়ে থাকবে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে। তিনি বলেন, ‘ম্যাচ কমিশনারসহ আজ স্টেডিয়াম ও গেটগুলোর নিরাপত্তা পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গেও সব সময় যোগাযোগ রাখছি।’

ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে গেট ভেঙে স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েছিলেন অনেক দর্শক। তিনজন তো গ্যালারি টপকে মাঠেই ঢুকে পড়েন। নিরাপত্তার এমন চরম দুর্বলতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের ম্যাচে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বাড়তি জনবল মোতায়েন করা হচ্ছে। গোলাম গাউস বলেন, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে ভুটান ম্যাচের তুলনায় নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।’

চার বছর পর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যদি আবারও বড় ধরনের অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়, তবে ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তির মুখে পড়তে পারে বাফুফে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় এর আগেও নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে বেশ কয়েকবার জরিমানা গুনতে হয়েছে। তাই এবার জাতীয় স্টেডিয়ামে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না ফেডারেশন।

১০ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি সরাসরি মাঠে বসে দেখার সুযোগ পাবেন না অনেক ফুটবলপ্রেমী। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফর্টিজ এফসি চট্টগ্রামে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর আয়োজন করছে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও ব্যক্তি বা ফেডারেশনের উদ্যোগে এমন আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ শুধু এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দিক থেকে নয়, দেশের ফুটবলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণও বটে। তাই মাঠের খেলায় যেমন নজর থাকবে, তেমনি স্টেডিয়ামের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এবার সমান গুরুত্বপূর্ণ। সব মিলিয়ে ১০ জুন একটি সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন ফুটবল উৎসবের প্রত্যাশায় দিন গুনছে গোটা দেশ।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত