Homeজাতীয়অন্তর্বর্তী সরকারে মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হওয়াই ভালো, সংস্কারের পরই নির্বাচন: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারে মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হওয়াই ভালো, সংস্কারের পরই নির্বাচন: ড. ইউনূস

[ad_1]

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ যত সংক্ষিপ্ত করা যায় ততই ভালো। তিনি আরও বলেছেন, সংস্কার কাজের গতি নির্ধারণ করে দেবে কত দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে চলমান জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। গতকাল বুধবার তিনি এই কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস এএফপিকে জানান, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যেতে নির্বাচনের আগে সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘সংস্কার কাজের গতিই নির্ধারণ করবে নির্বাচন কত দ্রুত অনুষ্ঠিত হবে।’

শান্তিতে নোবেলজয়ী ও ক্ষুদ্রঋণের অগ্রদূত ড. ইউনুস বাকুতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে গণতান্ত্রিক ভোটের দিকে এগিয়ে নেবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, আমরা যত দ্রুত প্রস্তুত হব, তত দ্রুতই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এর পর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা জানান, সংবিধান সংশোধনের সম্ভাবনা, সরকার কাঠামো, সংসদ এবং নির্বাচনী বিধিমালা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো দরকার। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার, তাই আমাদের মেয়াদ যত সংক্ষিপ্ত রাখা যায় ততই ভালো।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গত আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, যত তাড়াতাড়ি আমরা প্রস্তুত হব, আমরা তত দ্রুত নির্বাচন দিতে পারব। যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করতে পারেন। আমাদের একটা অন্তর্বর্তী সরকার আছে, তাই আমাদের সময়কাল যতটা সম্ভব, সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।’

বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে এই বিক্ষোভ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয় এবং জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেয়। পুলিশের কঠোর দমন-পীড়নে ফলে ৭ শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এরপর, হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান।

হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাঁর শাসনামলে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অন্যতম। স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘যেকোনো সরকারই স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে, আমরাও তাই।

আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে, আমরা এটি সমাধান করতে পারব এবং শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারব।’ তবে এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘বিপ্লবের মাত্র তিন মাস পার হয়েছে।’



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত