Homeজাতীয়অন্তর্ভুক্তির ভোট মানে দল নয়, জনগণের অংশগ্রহণ: জাতিসংঘের মন্তব্য

অন্তর্ভুক্তির ভোট মানে দল নয়, জনগণের অংশগ্রহণ: জাতিসংঘের মন্তব্য

[ad_1]

জাতিসংঘ মনে করে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকা দরকার। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস গতকাল বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশে গত জুলাই ও আগস্টে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলা আছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, নারী-পুরুষ ও জাতিসত্তা-নির্বিশেষে সমাজের সব অংশের নাগরিকের ভোট দিতে পারা উচিত। আরেকটু পরিষ্কার করে তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিবেচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রত্যেকের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকা দরকার।

অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি জাতিসংঘ বিবেচনায় নেয় কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, দল নয়, জনসমাজের সব অংশের প্রত্যেকের নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়ে থাকে।

করিডর নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য করিডর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন। আইনি বিষয় হওয়ায় এ বিষয়ে দুই দেশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষের মধ্যে চুক্তি হতে হবে। চুক্তি হলে জাতিসংঘ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে রাখাইনের সঙ্গে করিডরের বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে অভাব-অনটনের কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ চালুর কথা সাংবাদিকদের জানান। সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, করিডর নয়, ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অফিস ঢাকায়

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইন বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি অফিস চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী গতকাল বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্তৃপক্ষের একটি ইউনিট ঢাকায় আগে থেকেই কাজ করছে। এখন তারা লোকবল বাড়াতে চায়। একটি ছোট অফিস করতে চায়। এ বিষয়ে একটি চুক্তির খসড়া নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত