Homeজাতীয়আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সেবা সাময়িক বন্ধ

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সেবা সাময়িক বন্ধ

[ad_1]

ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন (এএইচসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিত করেছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আল-আমিন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএইচসির প্রথম সচিব মো. আল-আমিন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, আগরতলার পরিস্থিতির উন্নতি হলে এএইচসি অফিসের সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হতে পারে।

এদিকে, মঙ্গলবারও আগরতলায় বাংলাদেশে কথিত হিন্দু সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বন্ধের দাবিতে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন। পশ্চিম ত্রিপুরার এসপি ড. কিরণ কুমার জানান, বিক্ষোভকারীরা আগরতলা-আখাউড়া সমন্বিত চেকপোস্টে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

গত সোমবার এএইচসি প্রাঙ্গণে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান, সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে।

ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সেক্রেটারিয়েট সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সহকারী কমান্ড্যান্ট কান্তি নাথ ঘোষ এবং তিন সাব-ইন্সপেক্টর দিলু জমাতিয়া, জয়নাল হোসেন ও দেবব্রত সিংহকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বরখাস্ত করেছে। এ ঘটনায় র‍্যালি চলাকালীন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভূমিকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করতে একটি তদন্তও চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ১৩ জন ব্যক্তি এএইচসি প্রাঙ্গণের প্রধান গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালিয়েছে, যেখানে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্তদের শনাক্ত করে রাজ্যের সব থানায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তারা শুধু আইন ভঙ্গ করেনি, বরং কূটনৈতিক মর্যাদার বিরুদ্ধেও কাজ করেছে, যা গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনায় ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে কাউকে শাস্তি থেকে নিস্তার পেতে দেওয়া হবে না।’

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ সংক্রান্ত যেকোনো বিক্ষোভে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যক্তি সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের আচরণ কঠোরভাবে নিন্দনীয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গণতন্ত্রের অংশ, কিন্তু বেআইনি কার্যকলাপ বরদাশত করা হবে না।’

আরও পড়ুন:



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত