Homeজাতীয়আড়াই মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় ৮৮ মামলা, ৭০ জন গ্রেফতার

আড়াই মাসে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় ৮৮ মামলা, ৭০ জন গ্রেফতার

[ad_1]

সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় গত আড়াই মাসে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ৮৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে বেশ কিছু সহিংসতা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ থেকে আমরা একটা প্রতিবেদন পেয়েছি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ৭০ জন গ্রেফতার হয়েছে। পরের ঘটনাগুলোর তথ্য সংগ্রহ ও সন্নিবেশ চলছে। এটা পেলে বিস্তারিত জানানো হবে। এতে গ্রেফতার ও মামলার সংখ্যা হয়তো আরও বাড়বে। আপনারা জেনেছেন যে এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঢাকার তুরাগ ও নরসিংদীতে ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিটির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে। সংখ্যালঘু সংক্রান্ত এ ধরনের তথ্য আমরা নিয়মিত আপডেট দিতে পারবো।

তিনি জানান, ৮৮টি মামলার মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মামলা হয়েছে ৬২টি। ধর্মীয় পূজামণ্ডপ, উপাসনালয়-কেন্দ্রিক সহিংসতায় পুলিশের কাছে সরাসরি রিপোর্ট করা তথ্য অনুযায়ী মামলা হয়েছে ২৬টি। ৬২টি মামলায় গ্রেফতার ৩৫ জন এবং বাকি ২৬টি মামলায় গ্রেফতার ৩৫টি।

যারা বাংলাদেশে এ ধরনের সহিংসতা ও ন্যক্কারজনক কাজে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, কাউকে রাজনৈতিক পরিচয়ে তো গ্রেফতার করা হয় না। সন্দেহভাজন ধরা হচ্ছে বা অভিযোগ আসছে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ৮৮টি মামলার ঘটনা সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা সম্পর্কিত হলেও আমাদের নজরে এসেছে অনেক ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে তাদের কেউ আগের ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি হয়তো সংখ্যালঘু। রুলিং পার্টির সদস্য ছিল, তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এটাকে আপনারা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, উনি কী রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আক্রমণের শিকার হয়েছেন, নাকি সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে। এ ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নাকি সম্প্রদায়ের বিষয়টি। তবে, যাহোক যেহেতু সহিংসতা হয়েছে, এজন্য আমরা মামলা করেছি। আমরা বিষয়টি সিরিয়াসলি নিচ্ছি।

সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, এমন অভিযোগের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না এটা সরলীকরণ হয়ে গেলো। আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে। পুরো বিশ্ববাজার আমরা মনিটর করছি। সয়াবিন ও পাম অয়েলের ক্ষেত্রে অক্টোবর-নভেম্বর থেকে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী। ৯২০-৯৪০ ডলারের টনের তেল এখন ১২০০ ডলার পর্যন্ত উঠেছে। সয়াবিনের মার্কেট প্লেয়ার কিন্তু কম। ৩/৪টি কোম্পানি মূলত মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করে। তারা অনেক বড় পরিসরে আমদানি করে। এই পুরো বিষয়টি আমাদের মনিটরিংয়ে আছে। মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী হলে আমরা অ্যাডজাস্ট করি। কোন দেশে অ্যাডজাস্টমেন্ট হয় না। আমরা ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এটা করছি। আমরা মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বাজার মনিটর করছি। কোম্পানিগুলো কোনও ফাউল প্লে করছে কিনা এজন্য বিদেশে কম্পিটিশন কমিশন দেখে। আমরা খুব দ্রুত প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করবো। তারা এসব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

প্রতিটি মৌসুমি পণ্যের মূল্য কমেছে বলে দাবি করেন প্রেস সচিব।

ছাত্রলীগ-যুবলীগের অনেকে কলকাতায় বসে বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন—এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা অনেক লুটপাট, চুরিচামারি করে ওখানে গিয়েছে। তারা অনেক ধরনের কথাবার্তা ওখানে বসে বলছেন। তবে এটা কে কীভাবে নিচ্ছেন এটা হলো বড় কথা। আমাদের কথা হলো, তারা গত ১৫ বছরের অপশাসনের প্রতীক ছিল। এদের কারা মাইলেজ দিচ্ছে এটা তাদের ইস্যু। এ বিষয়ে আমরা কমেন্ট করতে চাই না।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত