[ad_1]
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাল্টে গেছে বাংলাদেশ ভারতের বিপাক্ষিক সম্পর্ক যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত আকারে চললেও অনেকাংশেই কমেছে ভারত থেকে পণ্য আমদানি।
সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ এবং সাবেক ইস্কন ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশে আলু ও পেয়াজ আসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন বিজেপি নেতা সুভিন্দ্র অধিকারী।
বর্তমানে ভারত থেকে আমদানি করা হয় আলু ও পেঁয়াজের একটি বড় অংশ। তবে ২৩ সালের আগে কখনোই আলু আমদানি করেনি বাংলাদেশ বরং রপ্তানি করেছে।
দেশে বর্তমানে আলুর চাহিদা বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি ১৬ লাখ। আর উৎপাদিত আলুর পরিমাণ ১ কোটি ৬ লাখ মেট্রিক টন।
বিবিসি বাংলার প্রকাশিত খবরে জানা যায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর বিপরীতে চলতি বছরে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ মেট্রিক টন। ট বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদন অনুসারে দেশে প্রতিবছর ২৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রয়োজন।
এখানে দেখা যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ ও আলুর উৎপাদন বেশি। বাংলাদেশ পেয়াজ এবং আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও কেন বাহিরের দেশ থেকে আমদানি করেছেন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এছাড়া অতিরিক্ত লাভের আশায় ব্যবসায়ীদের পণ্য মজুদ করার কারণে বাজারে তৈরি হয় দ্রব্য ঘাটতি।
তবে ভারতকে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার জন্যই অন্য আমদানি চালু রেখেছিল বিগত সরকার রয়েছে এমন অভিযোগও। তবে বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের বিকল্প খুঁজছে বাংলাদেশ।
[ad_2]
Source link