Homeজাতীয়ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের জন্য কেন সিলেটই হতে পারে সেরা পছন্দ

ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের জন্য কেন সিলেটই হতে পারে সেরা পছন্দ

[ad_1]

ঈদ-উল-আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আগমনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে সিলেটের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ অঞ্চল বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

সিলেট শহরের ভেতরে অবস্থিত ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থানসমূহ যেমন—কিং ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, শাহী ঈদগাহ এবং গৌর গোবিন্দের টিলা পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে নগরের বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পর্যটন স্পটগুলোর প্রতি।

সিলেটের সাতটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র:

সাদাপাথর (ভোলাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ):
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাদাপাথর এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ সাদা পাথরের স্তূপ, পাহাড়ি ঝরনা এবং স্বচ্ছ নীলজলের ধলাই নদী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য সম্মিলন পর্যটকদের মুগ্ধ করছে।

রাতারগুল জলাবন:
দেশের একমাত্র স্বীকৃত জলাবন হিসেবে পরিচিত রাতারগুল বর্ষাকালে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ৭৩ প্রজাতির গাছপালায় আচ্ছাদিত এ বনাঞ্চলে নৌকা ভ্রমণ পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করছে।

জাফলং (গোয়াইনঘাট):
মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পিয়াইন নদী তীরবর্তী জাফলং এলাকায় রয়েছে পাথরের স্তূপ, ঝরনা, খাসিয়া সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি এবং শ্রীপুর চা-বাগান ও ইকোপার্ক। এসব মিলিয়ে জাফলং দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রিয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

রাংপানি ও মোকামপুঞ্জি:
সাদা পাথর ও পাহাড়ি ঝরনার সমন্বয়ে গঠিত রাংপানি এলাকাটি খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম মোকামপুঞ্জিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আদিবাসী সংস্কৃতির সমন্বয় এ স্থানটিকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

উৎমাছড়া (কোম্পানীগঞ্জ):
সবুজ পাহাড়, ঝরনার ধারা ও পাথরের প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা উৎমাছড়া এলাকাটি ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

লালাখাল (কানাইঘাট):
স্বচ্ছ নীলজল, আঁকাবাঁকা নদীপথ, পাহাড়ি বন ও চা-বাগান ঘেরা লালাখাল বর্তমানে ঈদের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

লোভাছড়া চা-বাগান (কানাইঘাট):
ঐতিহাসিক লোভাছড়া চা-বাগান এলাকায় রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, ঝরনা, খাসিয়া গ্রাম ও ব্রিটিশ আমলের স্থাপনা। সুরমা ও লোভা নদীর মিলনস্থলও এখানে অবস্থিত, যা পর্যটকদের বাড়তি আগ্রহের বিষয়।

পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত

স্থানীয় প্রশাসন এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যেন ভ্রমণ নির্বিঘ্ন ও উপভোগ্য হয়।

ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে আগ্রহী ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য সিলেটের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। টিলা, ঝরনা, নদী ও বনভূমির সৌন্দর্যে মোড়া এ অঞ্চল পর্যটনের জন্য প্রস্তুত।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত