Homeজাতীয়ঋণের চাপ কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য হ্রাস

ঋণের চাপ কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য হ্রাস

[ad_1]

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য হ্রাস করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা কম।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রাথমিকভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ১৪ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়।

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে একযোগে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।

বাজেট উপস্থাপনায় জানানো হয়, সুদের বোঝা কমাতে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভ্যন্তরীণ উৎস, বিশেষ করে সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় সরকারের সুদ পরিশোধ ব্যয়ও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আসছে অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অনুদান বাদ দিয়ে প্রকৃত ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩.৬ শতাংশ।

ঘাটতি পূরণে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হবে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১২ হাজার ৫০০ কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাজেট বাস্তবায়নে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা পরিচালন ও অন্যান্য খাতে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা আহরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রের বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা কমানো ইতিবাচক পদক্ষেপ হলেও রাজস্ব আহরণ কাঠামোতে নির্ভরযোগ্যতা ও সংস্কার না হলে ভবিষ্যতে বাজেট ঘাটতি মেটানো কঠিন হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন অর্থনীতিবিদরা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত