Homeজাতীয়একজন শিক্ষক যতটা না শিক্ষক তার চেয়ে বেশি রাজনীতিবিদ হয়ে উঠছেন!

একজন শিক্ষক যতটা না শিক্ষক তার চেয়ে বেশি রাজনীতিবিদ হয়ে উঠছেন!

[ad_1]

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষকরাজনীতি বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘অভ্যুত্থানের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা যেমন প্রথম লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষেধ করেছেন, তেমনি লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষকরাজনীতি বন্ধ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতিকে দাসে পরিণত করার যে পদ্ধতি চালু ছিল, ক্যাম্পাসে যেন লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষকরাজনীতির উত্থান না হয়।’

আজ শনিবার বিকেলে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় সারজিস আলম এ কথাগুলো বলেন।

 

সারজিস আলম বলেন, ‘লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষকরাজনীতি লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করে। আপনারা যদি দেখেন, যাঁকে আমরা সম্মানিত শিক্ষক মনে করি, কোনো একজন সম্মানিত শিক্ষক, তিনি যতটা না শিক্ষক তার চেয়ে বেশি রাজনীতিবিদ হয়ে উঠছেন, তখন আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে প্রতিবাদ করবেন কিংবা নির্দ্বিধায় আবার সেই বীরের মতো তাঁদের জ্বালিয়ে দেবেন।’

ছাত্র সংসদ চালুর কথা উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ‘আমি চাই, খুব দ্রুত আপনাদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি ক্যাম্পাসে তৈরি হোক। একদম নিরপেক্ষ, কোনো দলীয় ব্যানার ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক। যার মধ্যে দায়বদ্ধতা থাকবে, জবাবদিহির মানসিকতা থাকবে, তাঁকে নির্বাচিত করবেন। দেশের মেধাবীরা যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের চর্চাটি শুরু না করে, তাহলে দুই দিকে সংকট আসতে পারে। প্রথমত, আজ থেকে হয়তো ২০ থেকে ৩০ বছর পরে জাতীয় রাজনীতিতে মেধাবীদের দেখতে পাব না। আরেকটি হচ্ছে, এত দিন ধরে আমরা যেটা দেখে আসছি নেতার তোষামোদি করা, নেতার জন্য শপিং করা, নেতার বাড়িতে রাতে ঘুরঘুর করা, নেতার ভাবির জন্য শপিং করার সংস্কৃতি চালু হবে। এই চর্চা যদি আমাদের জায়গা থেকে বন্ধ করতে চাই, তাহলে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু করা জরুরি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মেধাবীদের সম্মিলন ঘটে থাকে।’

এর আগে বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মো. আব্দুল কাদিরের সঞ্চালনায় সারজিস আলম, প্রক্টর মোখলেসুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। তার আগে দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে চেক বিতরণ করে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।

 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত