Homeজাতীয়এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮৩ জন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮৩ জন: যাত্রী কল্যাণ সমিতি


এপ্রিল মাসে ৫৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৩ জন নিহত ও ১২০২ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ২১৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত ও ২২৪ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, নিহতের ৩৯ দশমিক ২৭ শতাংশ ও আহতের ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৩৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৬ জন নিহত ও ৩৭৭ জন আহত হয়েছে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সিলেট বিভাগে, ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৫১ জন আহত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৭৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৯ দশমিক ১০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ ফিডার রোডে ও শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫০ দশমিক ৯৭ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৩ দশমিক ৮০ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৩৫ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে—দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল। জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকেরা এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

এছাড়াও মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি ও ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতাও দুর্ঘটনার কারণ ছিল। পাশাপাশি উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং এক চালকের অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোর কারণেও দুর্ঘটনা ঘটেছে।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত