Homeজাতীয়কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ কমানোর উপায়

কিশোর-কিশোরীদের মানসিক চাপ কমানোর উপায়

[ad_1]

শারীরিক,মানসিক ও সামাজিকভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের এক মোক্ষম সময় হলো কিশোর বয়স  তাই এ বয়সে কিশোর-কিশোরীরা অনেক ধরনের মানসিক ও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় পড়েন। সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে হতাশা, উদ্বেগ, খাওয়ার ব্যাধি ও আচরণগত পরিবর্তন। এই উদ্বেগজনিত বিষয়টি অনেকের মধ্যে চ্যালেঞ্জ এবং চাপ সৃষ্টি করে, যার জরুরি সমাধান ও সহায়ক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।

লজ্জা, সচেতনতার অভাব এবং সীমিত সমর্থনের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই এই সমস্যাগুলি নজরে পড়ে না, ফলে যথাযথ ব্যবস্থাও নেয়া হয় না।তবে কিছু কার্যকরী কৌশল প্রয়োগ করে আমরা কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও কার্যকরভাবে বুঝতে এবং তা নিরসনের প্রয়াস নিতে পারি। আসুন সেই কৌশলগুলো কী তা জেনে নেই–

১. যোগাযোগ: কিশোর-কিশোরীদের স্বাধীনভাবে নিজেদের মনোভাব প্রকাশ করার জন্য একটি নিরাপদ স্পেস তৈরি করুন। মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শুনুন। তাদের অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টার পাশাপাশি তাদের কথা বলতে উৎসাহিত করুন।

২. কাউন্সেলিং: কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সুকৌশল এবং প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কাউন্সেলরের সাহায্য চাইতে উৎসাহিত করুন। পরিবার ও স্কুলে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন এবং মানসিক সুস্থতা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। অতিরিক্ত সহায়তার জন্য স্কুলের সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকটপন্ন হতে পরামর্শ দিন।

৩. সুস্থ  জীবনধারা: নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা সৃজনশীলতা বিকাশ, হতাশা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলোকে লাঘব করে। আবার সুষম খাদ্য সেবন কিশোর-কিশোরীদের সজীবতা এবং শক্তির সঞ্চায়ক হয়। পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৪. সচেতনতাবোধ: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। মানসিক স্বাস্থ্যের তাৎপর্য সম্পর্কে তাদের জানান। মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য মননশীলতা এবং তা অনুশীলন করার বিভিন্ন উপায় প্রবর্তন করুন।

৫. শখ ও আগ্রহ: কিশোর-কিশোরীদের সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করুন। শখের কাজগুলো করা এবং স্বেচ্ছাসেবীমূলক ক্রিয়াকলাপে আগ্রহী করুন, যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং পূর্ণতার অনুভূতি আনবে।

৬. ক্ষতিকর প্রভাব সীমিত করা: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ এবং তাতে কিশোর-কিশোরীদের অপব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে শিক্ষিত করুন। যে কোন আশংকাজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে পরিবারের অথবা স্কুলের নির্দিষ্ট সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে আশ্বস্ত করুন।

. নিয়মিত আলোচনা: তাদের আবেগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন এবং খোলাখুলি কথা বলুন। উন্মুক্ত মানসিকতা সমুন্নত রাখুন এবং তাদের পরিবর্তনশীল চাহিদা, চিন্তাধারা এবং প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে আপনার পদ্ধতির সমন্বয় করুন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত