কুমিল্লার লালমাই পাহাড় এলাকার একটি টিলায় সম্প্রতি মাটি খনন করতে গিয়ে প্রাচীন স্থাপনার অস্তিত্ব খুঁজে পান এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে জায়গাটিতে বর্তমানে খনন কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। গত কয়েক দিনের খননে সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে প্রাচীন স্থাপনা ও প্রত্নবস্তু। এর মাধ্যমে ইতিহাসের নতুন কোনো অধ্যায় উন্মোচিত হবে এমনটাই আশা করছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও এলাকাবাসী।
সম্প্রতি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে চারাবাড়ি এলাকায় প্রাচীন এই দেয়ালের সন্ধান মেলে। দেয়ালটি সপ্তম-অষ্টম দশকের, এমনকি তারো বেশি সময় আগে নির্মিত কোনো জমিদার আমলের বাসস্থান বা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা শুরু করেছে প্রাথমিক পর্যায়ের খনন ও অনুসন্ধান কাজ। প্রতিদিন ২০ জনের মতো শ্রমিক যত্ন নিয়ে খননকাজ করছেন।’
স্থানটিতে খননকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের (কুমিল্লা কার্যালয়) মাঠ কর্মকর্তা (ফিল্ড কাস্টডিয়ান)শাহিন আলম ।
পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য খনন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছয় মিটার আকারে পাঁচটি জায়গায় আপাতত খননের কাজ চলছে। এরই মধ্যে অনেক প্রত্নবস্তু ও ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এই আবিষ্কার ঘিরে ধর্মপুরে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। চারা বাড়ি এলাকার মানুষজন এখন প্রতিদিন ভিড় করছেন পুরোনো সেই দেয়াল দেখতে। তাদের ভাষ্য, এই আবিষ্কার ইতিহাসের কোনো বন্ধ দরজা খুলে দেবে।
এছাড়াও কুমিল্লার এ প্রাচীন স্থাপনাটি সংগ্রহ করা হলে ভবিষ্যতে এখানে পর্যটনশিল্পের বিকাশ হবে এবং প্রচীন স্থাপনাটিকে ঘিরে সেখানকার মানুষের জীবিকার নির্বাহ হবে এমনটাই মনে করছেন সুশীল সমাজ।