[ad_1]
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরেরা জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না। পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এখন যেহেতু রায় স্থগিত হয়ে গেছে, তাই আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই।
গত বছর ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর মো. আশিক মিয়াসহ কয়েকজন রিট করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৮ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে রিট আবেদনকারীদের (ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর) জন্য কিছু পদ রাখতে বা সন্নিবেশিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, যদি পদ না থাকে, তাহলে যোগ্যতাসাপেক্ষে যেকোনোভাবে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।
উল্লেখ্য, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। গত বুধবার থেকে ছয় দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।
[ad_2]
Source link