[ad_1]
ক্ষমতাচ্যুত ও দেশত্যাগের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই বক্তব্যে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আগা মাসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের পর ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেনে তিনি। সেখানে তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর এই নির্যাতন কেন? কেন তাদের নির্মমভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে? ” তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, তাঁকে ও তাঁর বোন শেখ রেহানাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করেন তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের কথা।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট গণভবনে সংঘটিত সহিংস হামলার কথা তুলে ধরে ভাষণে বলেন, ‘সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের গণভবনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। যদি নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি চালাত, অনেক মানুষ মারা যেত। আমাকে গণভবন ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়। আমি বলেছিলাম, কিছুতেই যেন গুলি চালানো না হয়।’
ভাষণকালে হাসিনা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘আজ আমাকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। বাস্তবে ইউনূস একটি সুপরিকল্পিত পদ্ধতিতে গণহত্যায় জড়িত। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—কেউ রক্ষা পায়নি। ১১টি গির্জা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মন্দির এবং বৌদ্ধ বিহার ভেঙে ফেলা হয়েছে। যখন হিন্দুরা প্রতিবাদ করল, তখন ইসকনের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।’
হাসিনা আরও দাবি করেন, সহিংসতা কমানোর উদ্দেশ্যে তিনি অগাস্টে বাংলাদেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার পদত্যাগের পরও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা তার এবং তার বোন শেখ রেহানাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যখন নির্বিচারে মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমাকে দেশ ছেড়ে যাওয়া উচিত। তবু আমার পদত্যাগের পরও সহিংসতা থামেনি।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা ও নিপীড়নের বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে এমন বক্তব্য দিরেন শেখ হাসিনা।
[ad_2]
Source link