ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে গাজায় মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। দখলদার ইসরাইল গাজাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে কোনও পদ্ধতিই বাকি রাখছে না। একদিকে সামরিক আগ্রাসন, অন্যদিকে “ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র” হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। শুক্রবার গাজার জাবালিয়া, সুজাইয়া, জাইতুন, বুরেইজ এবং আলজাার মত এলাকায় একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। হামলায় ধ্বংস হয়েছে বহু বাড়ি এবং একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান।
শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ এই হামলার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও, দখলকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস ও জেরিকোতেও অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।
হামাসের দাবি, “গাজা ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অঞ্চলটি বর্তমানে সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।” হামাস নেতা আব্দুর রহমান সাদিদ বলেন, “খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সেবার সংকটে শিশুরা মারা যাচ্ছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “ইসরাইল এই দুর্ভিক্ষকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।”
হামাস আরও জানায়, “তাদের প্রতিরোধ ইসরাইলি পরিকল্পনাকে বারবার ব্যর্থ করে দিচ্ছে।”
অন্যদিকে, গাজায় সামরিক অভিযান আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। গণমাধ্যম জানায়, নতুন করে বিপুল সংখ্যক সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি, লেবাননে অবস্থানরত হামাস সদস্যদের দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করে সামরিক কর্মকাণ্ড চালাতে না করার জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরাইল। বৈরুতের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে না ফেলার অনুরোধ করে এই নির্দেশনা দেয়।
গাজায় ক্রমবর্ধমান সামরিক হামলা এবং মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র:https://tinyurl.com/mv44p4ww