[ad_1]
গুম ও খুন ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, “এগুলো করার জন্য পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থাকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল।”
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মায়ের ডাকের আয়োজনে গুম-খুনের শিকার পরিবারের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, “গোটা দেশজুড়ে ‘আয়নাঘর’ নামে নির্যাতন কেন্দ্রের অস্তিত্ব ছিল। অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। অনেককে ভারতে পাচার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ভারতীয় জেলেও পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও জানান, গুমের সঠিক পরিসংখ্যান নেই, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তার ভাষায়, “বিএনপি-জামাতসহ ভিন্ন মতাদর্শের সবাই শেখ হাসিনার শাসনামলে গুম ও খুনের শিকার হয়েছে।”
আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে ভারতে অবস্থান করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “শেখ হাসিনা এখনও ভারত থেকে চক্রান্ত করছে। আওয়ামী লীগ কোনও রাজনৈতিক দল ছিল না, তারা ছিল মাফিয়া। তাদের আর রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।”
গুম-খুনের শিকার পরিবারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, আমরা আপনাদের পাশে থাকবো— এটাই আমাদের অঙ্গীকার। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সফল করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের পথ রুদ্ধ করতে হবে।”
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়
মাহফুজ আলম বলেন, “বাংলাদেশে যাতে আর গুম, খুন ও নিপীড়নের সংস্কৃতি ফিরে না আসে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার ধ্বংস করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। গুম কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।”
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “আওয়ামী লীগ পুরো দেশটাকে আয়নাঘরে পরিণত করেছিল। আমরা আসলে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছি।”
ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে ভারত হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় এক লাখ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।”
[ad_2]
Source link