[ad_1]
২১ ডিসেম্বর- চট্টগ্রাম -নাজিরহাট শাখা লাইনে দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ ডেমু ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রী সাধারনের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। চীন থেকে আমদানি করা ডেমু ট্রেন দেশের রেলপথে চলাচল শুরু করে ২০১৩ সালে। ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট ট্রেনগুলোর সংক্ষেপ নাম ডেমু ট্রেন। ৬৫৪ কোটি টাকায় কেনা ২০ সেট ডেমু ট্রেনের ১৮ সেট এখনই অচল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্থ নয়ছয়ের বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে থেকে গেছে ‘ডেমু ট্রেনথ। বিকল অকেজো হয়ে ট্রেনগুলো পড়ে আছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের স্থাপনায়। ট্রেনগুলোর কোনোটির চাকা সচল নেই, ভেঙে গেছে জানালা। কোনো ট্রেনের জানালার কাচও অবশিষ্ট নেই। ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে আছে বহু আগেই। ভেতরের যন্ত্রাংশ, লাইট-ফ্যান খুলে নেওয়ায় প্রতীকী ট্রেন হিসেবেই অবশিষ্ট আছে এগুলো।
অচল ডেমু ট্রেন মেরামত, যন্ত্রাংশ ক্রয় ও জ্বালানি তেলের ব্যবহার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি-অনিয়মের তথ্যও মেলে রেলওয়েরই একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডেমু ট্রেন এখন জাদুঘরে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। অথচ কম দূরত্বে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য চীন থেকে আমদানি করা হয় ব্যতিক্রমী এই ডেমু ট্রেন। ট্রেনগুলোর সামনে-পেছনে দুই দিকেই আছে ইঞ্জিন। স্বল্প দূরত্বে দ্রুত চলাচলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রেনগুলো রেলওয়েতে সংযোজন করা হয়। কেনার সময় চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি ছিল টানা ২০-২৫ বছর ব্যবহার করা যাবে। িকন্তু ২০১৩ সালের মাঝামাঝি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করার পরপরই যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপর থেকে নানা যান্ত্রিক ত্রুটি লেগেই ছিল ২০ সেট ট্রেনে। চলাচল অযোগ্য এসব ট্রেনে আয়ের চেয়ে মেরামত খাতে ব্যয় বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১৯ সাল থেকে ডেমু ট্রেনে যাত্রী পরিবহন সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়,২০ সেট ডেমু ট্রেন আর কখনো চালানো সম্ভব নাও হতে পারে। এসব ট্রেন মেরামত করে চালাতে গেলে ব্যয় বেশি হবে। সে তুলনায় আয় না হলে আর মেরামত করে তো লাভ নেই। এরপরও মেরামতের ব্যাপারে কারিগরি দিক পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
[ad_2]
Source link