[ad_1]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত ৪৩ জন জাপানি সেনার দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিতে চায় টোকিও। জাপানি সরকারের এই উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ। সৈন্যদের দেহাবশেষ উত্তোলনে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কবর খনন শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ময়নামতি (কুমিল্লা) ওয়ার সেমেটারিতে কবর খনন শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত পাচঁটি কবর খনন করা হয়েছে। আগামী ১০ দিন এই কাজ চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে চট্টগ্রামে কবর খনন করা হবে।
কবর খনন, উত্তোলন ও স্থানান্তর কাজে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কাজি সাজ্জাদ আলি জহিরকে (বীর প্রতীক) নিয়োজিত করেছে বাংলাদেশ ও জাপান সরকার। এ কাজে জাপানের আট সদস্যের একটি দল ইতোমধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে চার জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। উত্তোলিত হাড়গুলো ডিএনএ টেস্ট করে যাচাই-বাছাই করা হবে।
একটি সূত্র বলছে, এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। প্রথমত জাপানি সৈন্যদের কবরগুলো সতর্কতার সঙ্গে খনন করা এবং উদ্ধার করা হাড়গুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সর্বশেষ ওই সৈন্যদের পরিবারকে খুঁজে বের করে তাদের পরবর্তী জীবিত প্রজন্মের কারও সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে। দেহাবশেষ জাপানে নিয়ে গিয়ে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তৎকালিন বার্মায় মিত্র শক্তি ব্রিটিশ আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ হয় অক্ষ শক্তি জাপানি সৈন্যদের। ওই যুদ্ধে আহত সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হতো চট্টগ্রাম ও ময়নামতি ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে। যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী মিত্রশক্তির সৈন্যদের পাশাপাশি বিরোধীপক্ষের জাপানি সৈনিকদেরও চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ও ময়নামতি হাসাপাতালে আনা হতো। ওই সময়ে যেসব জাপানি সৈন্য চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গিয়েছিল তাদের চট্টগ্রাম ও ময়নামতি ওয়ার সেমেটারিতে কবর দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, বার্মা ফ্রন্টে জাপানিদের সঙ্গে ব্রিটিশ আর্মির যুদ্ধে যেসব সৈন্য আহত হন, তাদের একটি অংশের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়। যুদ্ধে জাপানি সৈন্যদেরও এখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরাকান (বর্তমান রাখাইন) বা বার্মায় আহত ব্যক্তিদের একটি অংশের চিকিৎসা করা হতো চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়। তৎকালিন ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৪ সালের জুনে চট্টগ্রামে ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করে। ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতাল ময়নামতি (কুমিল্লা) স্থাপন করা হয় ১৯৪৪ সালের অক্টোবরে। এছাড়া রেঙ্গুনে (বর্তমান ইয়াঙ্গুন) ব্রিটিশ জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করা হয় ১৯৪৫ সালের জুনে।
[ad_2]
Source link