[ad_1]
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সার্ক গঠনে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ছিল একমাত্র অঞ্চল পৃথিবীতে যাদের আঞ্চলিক সহযোগিতা ছিল না।পাকিস্তান-ভারতের যে প্রতিদ্বন্ধিতামূলক সম্পর্ক ছিল তাই এদিকে কেউ এগোতে চায় নাই। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমান এটি সম্ভব করেছে।
রোববার প্রেসক্লাবে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান-ভারত প্রথমে একটু দ্বিধাদ্বন্ধে ভুগেছিল। তারা ভেবেছিল চারপাশের দেশগুলো তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞানলাভ করছে। সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে তাদের এসব দ্বিধাদ্বন্ধ দূর করা সম্ভব হয়েছে। জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় দেখে যেতে না পারলেও তার পরপরেই সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১০ বছর পর্যন্ত সম্ভাবনাময় সার্কের কোনো কার্যক্রম নেই। পরিসংখ্যান আছে আপনারা দেখে নিন। কারণও জানা আছে সবার। সামিটে বিরাট সমস্যার সমাধান হয় না কিন্তু দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান না হলেও সমস্যা স্থিমিত করার প্রক্রিয়া জানা যেত।
ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাসির আল মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন দ্য নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল মিন্টু, ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বলা হয় সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা। অভিন্ন দক্ষিণ এশিয়ার পরিচয় তুলে ধরতে তিনি সত্তর দশকের শেষদিকে একটি আঞ্চলিক সংগঠন শুরু করার পরামর্শ দেন। এর আলোকে সাতটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নয়াদিল্লিতে বৈঠকও করেন এবং একটি আঞ্চলিক সমিতি গঠনের খসড়া করেন। গঠনের পর থেকে, সার্ক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বেশ কয়েকটি শীর্ষ সম্মেলন এবং বৈঠক করেছে।
উল্লেখ্য, সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সমূহ হল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং ২০০৭ সালে আফগানিস্তান সার্ককের সদস্য পদ লাভ করে।
[ad_2]
Source link