বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে অনেক বিদেশি গণমাধ্যম একটি ‘মব ভায়োলেন্স’ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর। অল্প সময়ের মধ্যে একটি দমন-পীড়নমূলক সরকার পতনের ঘটনা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না বলেই এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আজ থেকে ২০ বছর পর এমনও হতে পারে, গাড়ি পোড়ানর মামলায় আন্দোলনকারীদের কারো নামে মামলা হতে পারে”
ফাতেমা আরও বলেন, এই প্রবণতা আসলে এক ধরনের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যেখানে একটি গণঅভ্যুত্থানকে ভুয়া, ভিত্তিহীন বা হিংসাত্মক বিদ্রোহ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ বাস্তবতা হলো—এটি ছিল মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
উমামা ফাতেমা মনে করেন, এই আন্দোলনের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্যকে জনগণের সামনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, “এই ঘোষণাপত্রে তুলে ধরতে হবে—শেখ হাসিনার শাসনামলে কী ধরনের দমননীতি চলেছে, স্বৈরাচার কীভাবে হাজার হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে, এবং কেন একটি কোটা আন্দোলন এক দফার গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছে।”