[ad_1]
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে ট্রান্সজেন্ডার এবং লিঙ্গ পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার মধ্যে এই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয় মার্কিন কর্মী ব্যবস্থাপনা দফতর (OPM)। নির্দেশনায় বলা হয়, সকল বাহ্যিক মিডিয়া (ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি) থেকে লিঙ্গ মতাদর্শ সম্পর্কিত বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলতে হবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে আগে যেখানে “LGBTQI+ ভ্রমণকারীদের জন্য তথ্য” শিরোনামে একটি পৃষ্ঠা ছিল, সেখানে এখন কেবল ‘LGB’ শব্দটি রাখা হয়েছে। যদিও পৃষ্ঠার অন্যান্য বিষয়বস্তু অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে এটি একটি বড় নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) তাদের ওয়েবসাইট থেকে ট্রান্সজেন্ডার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত একাধিক পৃষ্ঠা সরিয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে –
“LGBTQ যুবকদের স্বাস্থ্য বৈষম্য”
“LGBTQ+ যুবকদের সহায়তা”
“ডায়াবেটিস ও LGBTQ কমিউনিটি”
“LGBT যুবকদের আত্মহত্যা সম্পর্কিত তথ্য”
এছাড়াও, স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (HHS) “LGBTQI+ সংস্থান” পৃষ্ঠাটিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH)-এর “লিঙ্গ ও যৌন সংখ্যালঘু গবেষণা অফিস” সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে। একইভাবে, CDC-র “AtlasPlus” টুল, যা এইচআইভি ও অন্যান্য যৌন সংক্রমিত রোগ সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, মার্কিন জনশুমারি ব্যুরোর (Census Bureau) সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটই অকার্যকর হয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে CDC ও জনশুমারি ব্যুরো কোনো মন্তব্য করেনি।
২০ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেন, “ফেডারেল সংস্থাগুলোকে অবশ্যই লিঙ্গ মতাদর্শ প্রচার করা বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি নথিপত্রে শুধুমাত্র ‘নারী’ ও ‘পুরুষ’ উল্লেখ করতে হবে।”
একই সঙ্গে, বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (DEI) সম্পর্কিত সকল কর্মসূচির অর্থায়ন বন্ধ করার নির্দেশও তিনি দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে DEI সম্পর্কিত তথ্যও সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
ট্রাম্পের মন্তব্য অনুযায়ী, “DEI আমাদের দেশ ধ্বংস করে দিত, কিন্তু এখন এটি মৃত।”
এই পরিবর্তনকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করেছে। LGBTQ+ সম্প্রদায়ের নেতারা বলছেন, এটি “লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত”। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এই উদ্যোগ “নারীদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে”।
[ad_2]
Source link