গত বছরের মতো একটানা গরম ও বৃষ্টিশূন্য অবস্থা এ বছর ছিল না। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিলেও মানুষ ছিল স্বস্তিতে। তবে এ মাসের প্রথম সপ্তাহ পার না হতেই গরমের অস্বস্তি বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দেশের বড় অংশজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতেও গরমের দাপটে নাগরিকদের অবস্থা ছিল শোচনীয়, যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২৮ মার্চ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, এখন যেভাবে তাপপ্রবাহ বইছে তা অন্তত তিনদিন থাকতে পারে।
যদি বায়ুপ্রবাহের বিশেষ কোনো পরিবর্তন না হয় তবে এমনটা চলতে থাকবে। ১২ মে থেকে তাপপ্রবাহ কমতে পারে। রাজধানীর তাপমাত্রা এদিন চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, এ বছরের এপ্রিল মাসে গড় তাপমাত্রা গত বছরের চেয়ে অন্তত ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার যেভাবে বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে, তা আগে হয়নি। তাপপ্রবাহ আগে এত বিস্তৃত ছিল না। তবে বরিশাল অঞ্চলে যে মেঘমালার সঞ্চার হয়েছে তা আরও বিস্তৃত হলে দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ বইছে তা কমে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১১ মের মধ্যেই তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে।