Homeজাতীয়‘দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় ভারতেরও হাত আছে’

‘দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় ভারতেরও হাত আছে’

[ad_1]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় পাকিস্তানসহ রাজাকার, আল বদর, আল শামসের পাশাপাশি ভারতেরও হাত আছে। আজ শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাখা ছাত্রদলের আয়োজনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

আলোচনা সভায় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, ‘শেখ মুজিবের অধীনে প্রথমে গুম শুরু হয়। শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে চক্রান্ত করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এক্ষেত্রে শুধু পাকিস্তানিদের একা দায় দিবো না। ২৪ এ এসেও যারা ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বলে দিতে চাই সকল ষড়যন্ত্রকে ধুলিসাৎ করবে ছাত্রদল। ১৯৭১ এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আমরা পাইনি। বিভিন্ন সময়ে গোঁজামিল করে তালিকা করা হয়েছিলো। ২৪ এ এসেও এমন একটি ষড়যন্ত্র চলছে। এখনও ২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত, নিহত কারও সঠিক তালিকা করা হয়নি।

শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে স্বাধীনতা লাভ করেছি এ স্বাধীনতা কে রক্ষা করার জন্য কাধে কাঁধ মিলিয়ে সব স্তরের মানুষকে এক হয়ে সাম্য রাষ্ট্র বিনির্মানে কাজ করতে হবে। প্রতিটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য ছাত্রদল প্রস্তুত আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ এ ১৪ ডিসেম্বরের আগে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সবাইকে হত্যা করা হয়েছিলো। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় কিন্তু সে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেশবাসী আজও জানে না। এ হত্যাকান্ড নিয়ে আজও কোনো সমাধান হয়নি। প্রশ্ন রয়ে গেছে এ হত্যাকান্ড আসলে কারা ঘটিয়েছিলো। আঙ্গুল টা চলে যায় ভারতীয়দের দিকে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘শেখ মুজিব পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। দেশের মানুষের কথা কখনও তিনি চিন্তা করেননি। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কালুরঘাট থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলো। বাংলাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে যুদ্ধে নেমে এসেছিলো। আমাদের জাতির জন্য দূর্ভাগ্য আমাদের ত্রিশ লক্ষ শহীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতে পারিনি। সূর্য সন্তানদের কারও তালিকা করতে পারিনি। আমাদেরও দায় আছে এবং তা মেনে নিয়ে বলছি দেশ স্বাধীন করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো দায় তাদের বেশি। বৈষম্যের শুরু হয়েছে সে ৭১ থেকে। সত্যিকারের বাংলাদেশী তারা যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে। আমাদের বুদ্ধিজীবিদের শুধু রাজাকার, আল বদর, আল শামস হত্যা করেনি ভারতীয়রাও হত্যা করেছে।’

রইছ উদ্দীন আরও বলেন, ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের অংশ। ২৪ এ গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন। কিন্তু এ দুটোকে কখনও এক কাতারে আমরা মিলাবো না। এটা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্রের ঘনঘটা আমাদের চারপাশে। আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে।’

শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও ছিলেন—সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আরেফিনসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত