আমরা যদি নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে নারীর বিকাশ ঘটবে না বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
সোমবার (১২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘কথা বলো নারী’র ব্যানারে আয়োজিত ‘নারীর চোখে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘চব্বিশে যারা যুদ্ধ করলে এবং এর বাইরে যারা আছে— তোমাদেরকে আমি কাজে লাগাতে চাই। এবং সোশাল ফোর্স হিসেবে দেখতে চাই। সাইবার সেফটি তৈরি করার ক্ষেত্রে আমি তোমাদেরকে দেখতে চাই। আর আমাদের অন্যান্য যে কাজগুলো আছে সেখানে আমি চাইবো তোমাদের একটা জায়গা হোক।
তিনি বলেন, আমরা যদি নিরাপত্তাটা দিতে না পারি তাহলে নারীর বিকাশ ঘটবে না। মেয়েরা যদি স্কুলে নিরাপদ না হয়, রাস্তায় নিরাপদ না হয়, বাসে নিরাপদ না হয় তাহলে সে মেয়েটি কীভাবে একটি সুন্দর পরিবেশে নিজেকে গড়ে তুলবে। আমার মনে হয়, এদিকে আমাদের খেয়াল রাখা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে ছেলেরা পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ছেলেরা পিছিয়ে গেলে এটাও একটা নতুন শঙ্কা তৈরি করবে।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, তোমরা কী ভাবছো, তোমরা কী চাইছো— তোমাদের সেই বোঝা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো সেটাকে কেন্দ্র করেই আমরা আমাদের কৌশলটা সাজাতে চাই। আমরা একটা সোশাল ফোর্স তৈরি করতে যাচ্ছি। এর বড় দায়িত্ব হচ্ছে মন্ত্রণালয়কে তোমাদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছান। আর এই জায়গায় আমরা যে মেয়েদেরকে ট্রেইন আপ করবো সেখানে তাদের জেন্ডার রিলেটেড অ্যাওয়ারনেস থেকে শুরু করে, ফিজিক্যাল ট্রেনিং, সেলফ ডিফেন্স ট্রেনিং, প্যারা মিলিটারি ট্রেনিং সবটুকুই ভাবা হয়েছে। যেটা আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। এটা নারীদের জন্য একটা ক্ষেত্র হবে যেটাতে তারা মাথা উঁচু করে তাদের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে পারে।
সাইবার বুলিং জন্য আলাদা ইউনিট করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাইবার বুলিংটা এত ব্যাপক যে আমার মতে এটার জন্য আমাদের একটা আলাদা ইউনিটি করতে হবে। সেখানে কয়েকশো মেয়েকে কম্পিউটারে বসিয়ে দিতে হবে এবং তাদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে হবে ভাগ করে তারা সারাটা দিন এটা দেখবে এবং অল্টারনেটিভ ন্যারেটিভ তৈরি করতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা, ড. রেজওয়ানা কবীর স্নিগ্ধা, উমামা ফাতেমা প্রমুখ।