Homeজাতীয়নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এসেছে: সিপিডি

নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এসেছে: সিপিডি

[ad_1]

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। এখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্য এটি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

জাতীয় বাজেট সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছে। এ ক্ষেত্রে যে বড় অনিশ্চয়তা আছে, তা-ও নয়। তারপরও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা যেতে পারে। নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট ডেট দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে। সেটা ডিসেম্বর হোক বা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ– যেটাই হোক।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, তা না হলে কর্মসংস্থান হবে না; প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে। দারিদ্র্য বেড়ে যাবে। এতে বৈষম্যও বাড়বে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিলেও সমন্বিতভাবে তা পরিচালিত হচ্ছে না। এমনকি সংস্কার কার্যক্রমেও বাধা আসছে।

নির্বাচনের বিষয়ে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচন হয়ে গেলে বাংলাদেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধির জগতে প্রবেশ করবে, তা কিন্তু নয়। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করতে হবে। ব্যাংকিং খাত, এনবিআরসহ অন্যান্য খাতের সংস্কার হলেই শুধু বিনিয়োগ বাড়বে। বিনিয়োগের জন্য গ্যাস দেওয়া যাচ্ছে না। বাপেক্সের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তো নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন নেই।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে একদম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেছে, বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। ইতিমধ্যে ডিসেম্বর কিংবা জুনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। সে হিসাবে আগামী ৭ থেকে ১৩ মাসের ভেতরে নির্বাচন হচ্ছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মানুষ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাপক চাপের মধ্যে আছে। সরকারের কিছু উদ্যোগ মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমালেও তা এখনো সহনীয় পর্যায়ে নামেনি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও সেবা খাতে স্থায়ী অগ্রগতি আনতে অর্থনীতির প্রতিটি স্তরে সংস্কার জরুরি। আর শুধু সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে; এমন ধারণা ঠিক নয়। জ্বালানির সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে না পারা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারাও বড় কারণ।

সিপিডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নতুন অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ, পরিচালন কাঠামোর উন্নতি এবং নীতি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। শুধু দৃশ্যমান এবং সাহসী সংস্কারই আগামী বছরগুলোতে অর্থনীতিকে টেকসই করতে পারে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।

পুঁজিবাজার সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন করা হলেও খুব একটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিভিন্ন সময়ে অবহেলা ও বাজার কারসাজির কারণে এখানে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেই সংকট চলমান রয়েছে। গত ১৬ বছরে পুঁজিবাজারের প্রকৃত মূল্য ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিভিন্ন খাতে সংস্কার করা হচ্ছে। পুঁজিবাজার সংস্কারে একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে খুব একটা অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। পুঁজিবাজারে ৫টি চ্যালেঞ্জ আছে। তার মধ্যে রয়েছে, নিম্নমানের আইপিও, আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম, বিও অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতার অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ ও সেকেন্ডারি মার্কেটে কারসাজি। এগুলোর উন্নতি করতে হবে।

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।

এদিকে মূল প্রবন্ধে সিপিডি অর্থনীতির প্রতিটি খাতে দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে। এই টাস্কফোর্সগুলো নীতি বাস্তবায়নের গতি আনবে এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত