Homeজাতীয়পাচারের টাকা ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যর সহায়তা চাইবে সরকার

পাচারের টাকা ফেরত আনতে যুক্তরাজ্যর সহায়তা চাইবে সরকার

[ad_1]

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার হয়েছে—এমন অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে, তাঁদের অনেকে বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও আশপাশের দেশগুলোয় অবস্থান করছেন। এমন তথ্য থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার পাচার হওয়া অর্থের বড় একটি অংশ ফেরত পেতে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চাইবে। আগামী সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় বিষয়টি তোলা হতে পারে।

সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গতকাল বুধবার এসব কথা বলা হয়। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী সেখানে বক্তব্য দেন।

আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সরকারের একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তোলা হবে।’

দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সরকার যে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ যাঁদের বিরুদ্ধে দেশ থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের অনেকে যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনেছেন—এমন তথ্য আছে সরকারের কাছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে ৯ জুন লন্ডন রওনা হবেন। যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।

জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা কাউকে ফেরত আনার বিষয়টি তোলা হবে কি না, জানতে চাইলে রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা থাকলে তা অনুসরণ করা হবে। এর বাইরে অন্তর্বর্তী সরকারের যে সংস্কার পরিকল্পনা, তা বাস্তবায়নেও ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চাওয়া হবে।

যুক্তরাজ্যের দ্য কিং’স ফাউন্ডেশন ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। রাজা চার্লস ১২ জুন সেন্ট জেমস প্রাসাদে তাঁকে হারমনি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, রাজা চার্লস সেদিনই বাকিংহাম প্রাসাদে তাঁকে একান্ত সাক্ষাৎ দেবেন।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিসহ দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে দেশটির সহায়তা চাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসবে।

এর বাইরে বিখ্যাত চাথাম হাউস ও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি সমাবেশে তিনি মতবিনিময় করবেন।

সরকারপ্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসের এটিই হবে যুক্তরাজ্যে প্রথম সফর। ১৩ জুন তিনি দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত