Homeজাতীয়পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা


শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান স্বীকার করতে হবে। সব সেক্টরে শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারবদ্ধ।

আজ সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ওএসএইচ কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘২০০৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ২৮ এপ্রিলকে পেশাগত দুর্ঘটনা ও রোগ প্রতিরোধের প্রচার এবং কর্মক্ষেত্রে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিবস পালন করা হয়। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো “পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের রূপান্তর; বাংলাদেশে ওএসএইচের ভবিষ্যৎ”। এই প্রতিপাদ্য আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড শ্রমজীবী মানুষ, তাঁদের প্রাপ্য নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দেয়। পরিবহন সেক্টরে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি নিশ্চিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের বেশির ভাগ শ্রমিক ইনফরমাল সেক্টরের। কর্মক্ষেত্রে এসব শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এ ছাড়া নারী শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকিতে থাকে। আমরা কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সেফটি নিশ্চিত করছি।’ যেসব কনস্ট্রাকশন কোম্পানি শ্রম আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত না, তাদের কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলে উপদেষ্টা মতামত ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি রাজশাহীতে ডিআইএফইয়ের অধীনে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (NOSHTRI) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি শ্রমিক দুর্ঘটনা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা-সম্পর্কিত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের প্রথম বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থার মাধ্যমে, কারখানার শ্রমিক, মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আগ্রহী সংস্থা এবং ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এই সংস্থা বাংলাদেশের শ্রম খাতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সামগ্রিক উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়ন, পেশাগত দুর্ঘটনা, পেশাগত রোগ এবং শ্রমিকদের কল্যাণ-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে। একটি শক্তিশালী NOSH সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক, সুশীল সমাজ এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি এবং গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত