[ad_1]
জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের মামলায় প্রসিকিউটর নিয়োগে স্বার্থের দ্বন্দ্ব বিবেচনায় না নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আজ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের উদ্দেশে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।
ওই পোস্টে জ্যোতির্ময় বলেন, ‘ধরেন, একজন আইনজীবী কোনো এক ব্যক্তির মামলা লড়ছিলেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি আইনজীবীর ওপর আস্থা চলে যাওয়ায় আইনজীবী পরিবর্তন করেন। পরে যে আইনজীবী মামলার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আগের আইনজীবীর কৃত কাজের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারবেন না। যেহেতু আইনজীবী নিজে কিছু বলেন না; যা বলেন, তাঁর মক্কেলের হয়ে বলেন, তাই সকল কাজ বা বক্তব্য পরে; যে-ই আসুন না কেন, তাঁকে স্বীকার করে নিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু এ টি এম আজহারের মামলায় আইনজীবী বলেছেন, তিনি আগের প্রসিকিউশনের কাজের দায়িত্ব নেবেন না। তিনি এ-ও বলেছেন, তিনি আগে বিরাটসংখ্যক অভিযুক্তের পক্ষে লড়েছেন। এটা নিশ্চিত কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। তা ছাড়া তিনি যে মুহূর্তে বললেন, তিনি আগের প্রসিকিউশনের বক্তব্য সমর্থন করেন না, সেই মুহূর্তে তিনি পেশাগত অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন বিধায় তাঁকে বার কাউন্সিলে পাঠানো উচিত ছিল লাইসেন্স বাতিলের জন্য। সেটা করা হয়নি।’
জ্যোতির্ময় বলেন, ‘আইসিটি ট্রাইব্যুনালের পক্ষে বলা হয়েছে, আইন ঠিক ছিল; কিন্তু এটি অন্যায়ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীর দুর্দান্ত সাবমিশনের বিপরীতে ট্রাইব্যুনালপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নেহায়েত শিশু। এ রকম পরিস্থিতিতে আসামিকে খালাস দেওয়া ছাড়া কোর্টের কিছুই করার ছিল না। ফলে এ ক্ষেত্রে আইন উপদেষ্টা ভালো বলতে পারবেন, কেন তিনি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বিবেচনায় রেখে প্রসিকিউটর নিয়োগ দিলেন না।’
জ্যোতির্ময় আরও বলেন, ‘কেবলই ব্যক্তিগত মতামত। আমি নিতান্ত নগণ্য একজন আইনের ছাত্র।’
[ad_2]
Source link