Homeজাতীয়প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক দিলো বাংলাদেশ

প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক দিলো বাংলাদেশ

[ad_1]

দক্ষিণ এশিয়ার নদনদী ও সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ‘প্লাস্টিক-ফ্রি রিভার্স অ্যান্ড সীজ: এ ভিশন ফর সাউথ এশিয়া রিজিওনাল রাউন্ডটেববিল’ বৈঠকে ‘পলিসি অ্যান্ড রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জেস অব ম্যানেজিং প্লাস্টিক ওয়েস্ট’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এ আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নদী ব্যবস্থার আবাসস্থল। এখানকার জলাধারে প্লাস্টিক সীমান্ত পেরিয়ে এসে জমা হয় এবং বাস্তুতন্ত্র ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে। এই সমস্যার সমাধানে দরকার সমন্বিত আঞ্চলিক কৌশল— যেখানে সহযোগিতা, উদ্ভাবন ও টেকসই অর্থায়ন থাকবে।’

পরিবেশ সচিব বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় তিনটি প্রধান বাধা রয়েছে— অপ্রতুল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যেমন উন্মুক্তভাবে ফেলা ও পোড়ানো; দুর্বল আইন বাস্তবায়ন; তথ্য বিনিময় ও যৌথ পরিবীক্ষণে আঞ্চলিক সহযোগিতার ঘাটতি।’ তিনি একটি দক্ষিণ এশীয় বহু খাতভিত্তিক প্লাস্টিক কর্মপরিকল্পনা গঠনের প্রস্তাব দেন। এই পরিকল্পনায় থাকবে— বৃত্তাকার অর্থনীতির জন্য সমন্বিত নীতি, প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাসে অভিন্ন মানদণ্ড এবং গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি।

এসময় আঞ্চলিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহ, আলাদা করা ও প্রক্রিয়াকরণে যৌথ উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর প্লাস্টিক ধাপে ধাপে বন্ধ করে নিরাপদ ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিকল্প ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি আঞ্চলিক প্লাস্টিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, হটস্পট পরিষ্কারের কর্মসূচি ও আইনের কঠোর প্রয়োগের প্রস্তাব দিয়ে পরিবেশ সচিব বলেন, ‘আমাদের অঞ্চল উপযোগী গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে। জনসম্পৃক্ততা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাও দরকার।’ তিনি এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি (ইপিআর) মডেলের ওপর জোর দেন যাতে শিল্পকারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করে।

বৈঠকে পরিবেশ সচিব বলেন, ‘আমাদের আলাদা চেষ্টা যথেষ্ট নয়। এখনই সময় সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার। আমরা সাহসী সিদ্ধান্ত নেবো, প্লাস্টিকমুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করবো।’

ড. ফারহিনা আহমদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন— পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শামীমা বেগম এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক রাজিনারা বেগম।

এই গোলটেবিল বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত