[ad_1]
দেশের একটি গণমাধ্যমে ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে নিজেদের দেশ প্রেম প্রমাণ করছে তা নিয়ে কথা বলেন এম এ হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা এক দিক দিয়ে খুবই সৌভাগ্যবান। আমরা বুঝতে পারি আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কলকাঠি কারা নাড়াচ্ছে। আর দুর্ভাগ্য হল এমন একটি দেশ বাংলাদেশ যে দেশের কোন মুসলিম প্রতিবেশী দেশ নেই।’
দেশের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের বাংলাদেশের এই অঞ্চলটি ইস্ট বেঙ্গল নামে পরিচিত ছিল। ৫১ সাল পর্যন্ত ইস্ট বেঙ্গল নামেই ছিল। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে পরিচিতি পায়।’
দেশের মানচিত্রের কথা তুলে বলেন, ‘এই যে বাংলাদেশের ম্যাপ এই ম্যাপটাই তো তৈরি করেছিল ভারতীয়রা। তারা এমনভাবে বাংলাদেশের মানচিত্র টা তৈরি করেছে যাতে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ টিকে থাকতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূর্ব বাংলার সাথে থাকার কথা ছিল আসাম এবং করিমগঞ্জ। কিন্তু আমাদের মানচিত্রটাকে এমন ভাবে ত্যাড়া ব্যাকা করে তৈরি করেছে। আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এমন ভাবে মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে যাতে এই দেশটার স্থায়িত্ব না থাকে।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘তৎকালীন আমাদের এমন কোন নেতা ছিল না যে এই বিষয়টা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা তৈরি করবে। ইস্ট বেঙ্গল থাকাকালীন ইন্ডিয়ার বিএসএফ বাহিনী এই দেশ থেকে দূরে থাকতেন। তারা ভয়ে থাকতেন। কিন্তু বৈদেশিক নীতি বলেন আর দেশের দালাল সরকারি বলেন ভারতের অর্থায়নে ভারতের লালিত পালিত পশুত্ব বা দাসত্ববরণ করে তারা বারবার মেনে নিয়েছিল। সম্পর্ক রক্ষা নামে দাসত্ব তৈরি হয়েছিল।’
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রসংশা করে বলেন, ‘এমন ঘটনার পরেও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সাহসের পরিচয় দিয়েছে বারবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে যখন আমরা পরাধীন ছিলাম বাংলাদেশ ভারতে কোন বর্ডার ছিল না। ফ্রি আসা,যাওয়া, খাওয়া চলতেই থাকতো। দেশের সব কিছু লুটতরাজ করে আনন্দ করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিনা ভিসা ইন্ডিয়া চলে যেত।’
ভারতের প্রসঙ্গে বলেন, ‘এইযে ভারতীয় প্রতিপক্ষের এমন একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল সেই অভ্যাস এখনো যায়নি। সেই আগের অভ্যাসে যখন তারা কাজ চালানো শুরু করেছে তখন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আঙ্গুল তুলে কথা বলছে বিএসএফের সঙ্গে। মুখ তুলে কথা বলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন আমাদের লিডাররা। দুঃসাহসের পরিচয় দিচ্ছেন। শুধু আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী না দেশের সাধারণ জনগণ, যারা লেখাপড়াও জানে না তারাও রুখে দাঁড়িয়েছে দা বটি কাছি নিয়ে।’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সীমান্তের কিছু জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে বিএসএফ ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ কাজ বন্ধ রাখে।
[ad_2]
Source link