[ad_1]
বাউফলে ডাকাত সেজে এক শিক্ষকের ঘরে হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পশ্চিম মদপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই রাতেই এসআই মো. শাহীনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাউফল থানার পুলিশ।
ভূক্তভোগি ওই কলেজ শিক্ষকের নাম মো. মো. ওবায়দুল কবির (৩১)। বরিশালের ঝালকাঠি এলাকায় একটি কলেজে শিক্ষকতা করেন তিনি।
শিক্ষক ওবায়দুল কবির জানান, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে মাসখানেক আগে একই বাড়ির প্রতিপক্ষের আ. লতিফের হাওলাদারের ছেলে ওয়াহিদুল (২৮) মোবাইলফোনে হত্যার হুমকী দেয় তাকে। এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি নম্বর- ৬৬৩, তারিখ- ১০/১২/২০২৪ ইং) করেছেন তিনি। সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে এলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে ডাকাত সেজে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে লুটপাট চালায়।
কৌশলে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও দুর্বৃত্তরা এ সময় আলমিরা ভেঙে নগদ ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ও প্রায় ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। দুর্র্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় পেছনে ধাওয়া করে দৃর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাত থেকে নিজেকে বাঁচতে গিয়ে হাটুতে গুরুতর জখম হন রহিম নামে এক যুবক।
একপর্যায়ে ডাকচিৎকারে লোকজন টের পেয়ে গেলে দ্রুত মোটরসাইকেল যোগে সটকে পরে দুর্বৃত্তরা। তবে দুর্বৃত্তদের মধ্যে প্রতিপক্ষের ওয়াহিদুলকে স্পস্ট চিনে ফেলে ঘরের লোকজন।
তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে পুলিশ ওয়াহিদুলের বাবা লতিফ হাওলাদারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় অভিযোগ করেন শিক্ষক ওবায়দুল।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া বাউফল থানার এসআই মো. শাহীন বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত না থাকায় ওয়াহিদুলের বাবা আ. লতিফকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
[ad_2]
Source link