[ad_1]
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের কুদের হাট সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইট সোলিং সড়কটির ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ।
উপজেলা শহর থেকে বয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খান সড়কের গারুড়িয়ার থেকে কুদের হাট সড়কটি কলসকাঠী বাজারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গারুড়িয়ার, কলসকাঠী দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটি দিয়ে দুই ইউনিয়নের মানুষ কলসকাঠী সাপ্তাহিক হাটে যাওয়া আসা করে। এই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল গবাদিপশু হাঁস-মুরগী বাজারজাতকরণে পরিবহনে যাতায়াত করা বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৫ কিলোমিটার ইট সোলিং রাস্তাটি ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত খানা-খন্দে ভরপুর হয়ে গেছে। রাস্তায় এখন আর ইট নেই। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের মানুষের। বর্তমানে রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে গারুড়িয়া, ঢাপরকাঠী, মেউড়, দিয়াতলি, ভান্ডারিকাঠীসহ ৬-৭ টি গ্রামের মানুষদের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। এ সকল গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে একমাত্র ভরসা এই রাস্তা। আট-দশটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। যার কারণে যুগের পর যুগ পার হলেও গ্রামীণ এই রাস্তাটি সংস্কার করার কোন উদ্দ্যোগ নেই কারো। এই এলাকায় হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়ার পথেই অনেক সময় মারা যায়। নির্বাচন আসে যায় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করছে না কেউ। এই সড়কে কোন প্রকার যানবাহন না চালায় আমরা রয়েই গেলাম আদিম যুগে।
বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনোও বেহাল দশায় পড়ে আছে। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী হাসনাইন হোসেন বলেন, বর্তমানে কোন প্রকল্প নেই। নতুন কোন প্রকল্প আসলে সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে।
[ad_2]
Source link