Homeজাতীয়বিএনপির যে চিঠিতে তৃণমূল ও শরিকদের মধ্যে বইছে ঝড়

বিএনপির যে চিঠিতে তৃণমূল ও শরিকদের মধ্যে বইছে ঝড়

[ad_1]

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তৃণমূল নেতাদের কাছে পাঠানো এক চিঠি তৈরি করেছে ব্যাপক আলোড়ন। যা উদ্বেগ ছড়িয়েছে দলটির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যেও। জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওই চিঠি পাঠানোর নির্দেশনা দেন। তবে এই কারণে এখন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

 

 

 

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে শরিক দলের প্রধানরা বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না,  নুরুল হক, জোনায়েদ সাকী, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুৎফর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন সেলিম এবং আরও অনেকে।

এ বৈঠকেই বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, বিএনপির সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের মাঠে কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তারা মনে করছেন, এতে করে দূরত্ব বাড়ছে এবং ভবিষ্যত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।

তারেক রহমান বিষয়টি আমলে নিয়ে শরিকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দেন। এরপর গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পাঠান, যাতে বলা হয় গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কাজে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।

তবে এমন চিঠি কেবল পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) সংসদীয় আসনে গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কাজে সুবিধা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। যারপরনাই এই চিঠি জেলা পর্যায়ের নেতাদের হাতে পৌঁছানো যাত্রই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় নেতারা চিঠিটিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি অগ্রিম বার্তা হিসেবে ভাবছেন।

অন্যদিকে, শরিক দলগুলোর নেতা যারা এই চিঠি পাননি, তারা ড. ফরহাদের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিবের কাছে গুলশানে দেখা করেন। কেন বিশেষ দল বা ব্যক্তির জন্য এই চিঠি পাঠানো হয়েছে তা জানতে চাইলে মহাসচিব তাদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ভিন্ন একটি চিঠি তাদের জন্যও পাঠানো হবে।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন বিএনপিতে যোগদানকারী সাবেক এমপি গোলাম মওলা রনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখন দলের কোনো পদে নেই, যারা পদে আছেন, তারা ভালো বলতে পারবেন। আমি চিঠি সম্পর্কে কিছু জানি না, আপনার কাছ থেকেই জানলাম।’

এদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন বলেন, “নির্বাচনের আগে সাধারণত কিছু রাজনৈতিক কার্ড খেলা হয়, এটি তারই অংশ। সময় বলবে যে আসলে সিদ্ধান্ত কী হয়।”



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত