Homeজাতীয়বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে মুক্তি পাচ্ছে আ.লীগের রাজবন্দীরা!

বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে মুক্তি পাচ্ছে আ.লীগের রাজবন্দীরা!

[ad_1]

বিজয়ের মাসে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ।

 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পক্ষে এক বিবৃতি দেওয়া হয়।যেখানে দাবি করা হয় বিজয়ের মাসে দলটির নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে নাছিম বলেন,আগামীকাল থেকে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের যাত্রা শুরু। এই মাসে বাঙালি জাতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব গৌরবগাথা বিজয় অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতি হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জন করে।

দখলদার পাকিস্তানি ঔপনিবেশবাদের অর্গল ভেঙ্গে অভ্যুদয় হয় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। সমাগত বিজয়ের মাসের এই শুভক্ষণে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০লক্ষ শহিদ এবং ২ লক্ষ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের প্রতি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

দীর্ঘদিন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতি অনবদ্য লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে পেল চির-আকাঙ্ক্ষিত মুক্তির স্বাদ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন,একটা যুদ্ধা বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলা কত কঠিন ছিল তা আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকালে বোঝা যায়। অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করছে। পরিকল্পিতভাবে ঘৃণা উৎপাদনের সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত করা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সম্প্রদায় ও জাতিগোষ্ঠীর বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভাজন সৃষ্টি করার মাধ্যমে অবিশ্বাস ও বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে।

ফ্যাসিস্ট ইউনূসের মেটিক্যুলাস ডিজাইননের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হচ্ছে। নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজয়ের মাসে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। দেশে কোনো মানুষ এই বাংলাদেশ চায়নি। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বলছে, তারা স্বাধীনতার ৫৩বছরে অভূতপূর্ব এই দৃশ্য দেখে নাই। যেন উদ্ভট এক উটের পিঠে চলছে বাংলাদেশ, যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় তৎপর। বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষসহ সমগ্র দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপচেষ্টা রোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতি প্রকাশের পর থেকে দলটির অনেক নেতা কর্মীই ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার করেছেন।তাঁরা আশা করছেন দলটির নেতাকর্মীরা শীগ্রই মুক্তি পাবে।

কিন্তু নেটিজেনরাসহ দেশের আপামর জনসাধারণ মনে করছেন ,তাদের সে আশা গুড়েবালি।কেননা ইতোমধ্যে অন্তবর্তীকালীন ইউনূস সরকার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করেছে।যেখানে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার  বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।পাশাপাশি ড.ইউনূস তার আগেই বলেছিলেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে ও দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।দলটির নাছিমের এই বিবৃতিকে মানুষ দেখছে প্রহসনের বিবৃতি হিসাবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত